শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

বনানীর ঘটনায় গাফিলতি নয়, কিছু বিচ্যুতি হয়েছে

------------ ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বনানীর দ্য রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নেওয়ার ক্ষেত্রে গাফিলতির প্রমাণ মেলেনি। তবে কিছু বিষয়ে ব্যত্যয় ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। গতকাল ডিএমপি সদর দফতরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ঘটনার এক মাস সাত দিন পর অভিযোগ আসার কারণে বনানী থানা পুলিশ বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য কিছুটা সময় নিয়েছিলেন। ১৫৭ ধারা অনুসারে তিনি সময় নিতেই পারেন। তবে তদন্ত প্রতিবেদনে কিছু অসংগতি বা ত্রুটি-বিচ্যুতি পাওয়া গেছে। ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, মামলা নিতে কেন দেরি হয়েছিল ও দায়িত্বে কোনো অবহেলা ছিল কি না তদন্ত শেষে সে বিষয়ে গতকালই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। এখন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। পরে পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

এদিকে পুলিশের গাফিলতি তদন্তে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমান খানের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি রবিবার অতিরিক্ত তিন দিন সময় চেয়েছিলেন। তবে এক দিন যেতে না যেতেই প্রতিবেদন জমা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান খান জানান, ‘১০ মিনিট আগে তিনি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তদন্তে বনানী থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) এবং পরিদর্শকের (তদন্ত) গাফিলতি পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

অতিরিক্ত তিন দিনের সময় চাওয়ার পরও আজ (সোমবার) প্রতিবেদন কীভাবে জমা দিলেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কিছু সাক্ষ্য বাকি ছিল। আজ সকালের মধ্যেই সেগুলো পেয়ে যাওয়ায় ১০ মিনিট আগে প্রতিবেদন জমা দিয়ে দিছি।’

এর আগে ডিএমপি কমিশনার বলেন, দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় বনানী থানা পুলিশের গাফিলতি তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী বনানী থানা পুলিশের গাফিলতি নয়, তবে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি পাওয়া গেছে। এগুলো কেন ঘটল তা জানতে সংশ্লিষ্টদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তাদের উত্তর পেলেই তদন্ত প্রতিবেদন মিলিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আসামিরা সবাই গ্রেফতার হয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন। এখন সাক্ষীদের জেরার কাজ চলবে। তদন্ত শেষ করে দ্রুতই এ চাঞ্চল্যকর মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।

রমজানে যানজটের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসন্ন রমজান মাসে রাজধানী জুড়ে ট্রাফিক ব্যবস্থা পরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়েছে। যানজট যাতে সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি রমজানে যানজট হবে না। রমজানে যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে নগরবাসীর সহায়তা কামনা করেন তিনি।

 

সর্বশেষ খবর