সোমবার, ৫ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

নব্য জেএমবির প্রধান আইয়ুব বাচ্চু : মনিরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

নব্য জেএমবির নেতৃস্থানীয় পর্যায়ের সদস্যরা নিহত হওয়ার পর সংগঠনটির হাল ধরেছেন আইয়ুব বাচ্চু নামে তৃতীয় সারির এক জেএমবি সদস্য। তামিম চৌধুরী ও সারোয়ার জাহান নিহত হওয়ার পর নব্য জেএমবির আমিরের দায়িত্বে ছিলেন মূসা। মৌলভীবাজারের বড়হাটের আস্তানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে মূসা নিহত হওয়ার পর সংগঠনের আমিরের দায়িত্ব পালন করছেন আইয়ুব বাচ্চু। গতকাল দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। ২৭ ও ২৮ মে সাভারের মধ্য গেন্ডা এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে গ্রেনেড ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এ ঘটনায় করা মামলার সূত্র ধরে মনির হোসেন ওরফে সুমন ও তৌহিদুল ইসলাম ওরফে তুহিনকে সাভার থেকে এবং কামাল হোসেনকে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থেকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সাভারের আস্তানাটিতে আইয়ুব বাচ্চু স্ত্রী-সন্তানসহ থাকতেন। অভিযানের আগে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রীকে ওই বাসা থেকে সরিয়ে তৌহিদুলের কাছে নিয়ে যান মনির। তিনি জানান, আটক মনির নব্য জেএমবির বর্তমান আমির আইয়ুব বাচ্চুর সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন বলে পুলিশ নিশ্চিত হতে পেরেছে।

আটক অপর আসামি কামাল তার আত্মীয় নব্য জেএমবির সক্রিয় সদস্য হাসানের সহায়তায় ফিটকারি কারখানা ও সেলুনের প্রসাধনী ব্যবসার আড়ালে সংগঠনের জন্য বিস্ফোরক ও অর্থ সংগ্রহে নিয়োজিত ছিলেন।

 

তিনি বলেন, সাভারে উদ্ধার বিস্ফোরকগুলো আইয়ুব বাচ্চুর বাসায়ই ছিল। পরে মনির ও তৌহিদুলের সহায়তায় সেগুলো হাসানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই পরে বিস্ফোরকগুলো উদ্ধার করা হয়।

মনিরুল বলেন, আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন নব্য জেএমবির তৃতীয় বা চতুর্থ সারির নেতা। প্রথম ও দ্বিতীয় সারির নেতাদের মৃত্যুর পর নব্য জেএমবির হাল ধরেন তিনি।

আইয়ুব বাচ্চু ঢাকার কোনো একটি নামকরা কলেজে পড়াশোনা শেষ করে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। ছাত্রাবস্থায় কথিত হিজরতে বের হন আইয়ুব বাচ্চু। তাকে ধরার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর