শনিবার, ১০ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা
শুল্ক বাড়ানোর জের

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে পাথর আমদানি বন্ধ বেকার তিন শতাধিক শ্রমিক

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

নিয়মিত শুল্ক বাড়ানোর কারণে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে বন্দরের কার্যক্রম। বেকার হয়েছেন তিন শতাধিক শ্রমিক।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ১ জুন থেকে এ বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। পাথর ব্যবসায়ীরা জানান, পাথর আমদানিতে যে পরিমাণ নিয়মিত শুল্ক বাড়ানো হয়েছে, তাতে আমদানি করে তাদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ভারতে পাথরের মূল্য বেশি, বাংলাদেশে শুল্ক বেশি। এই অবস্থায় পাথর আমদানি করলে লোকসানের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এদিকে পাথর আমদানি বন্ধ হওয়ার কারণে স্থলবন্দরের বেকার হয়ে পড়া প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক পরিবার অমানবিক অবস্থার মধ্যে রয়েছে। শ্রমিকরা বলছেন, ঠিক ঈদের আগে এবং রমজান মাসে কাজ বন্ধ থাকার কারণে তাদেরকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে।

 

 

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চলতি জুন মাসের আগে প্রতি ৫০০ টন পাথর আমদানি করতে সরকারকে নিয়মিত শুল্ক দিতে হতো ১ লাখ আশি হাজার ৬৬০ টাকা। কিন্তু  শুল্ক বেড়ে যাওয়ার কারণে পাথর আমদানি করলে গত ১ জুন থেকে  প্রতি ৫০০ টনের বিপরীতে ২ লাখ ৫ হাজার ৯৩১ টাকা নিয়মিত শুল্ক প্রদান করতে হবে। প্রতি টনে নিয়মিত শুল্ক বেড়েছে ৫৩ টাকা। এ জন্য আমদানিকারকরা পাথর আমদানি বন্ধ করেছেন। প্রসঙ্গত, গত অর্থবছরে ১৫ জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে ৯ লাখ ৪ হাজার মেট্রিক টন পাথর আমদানি করা হয়েছে। গত বছরের জুলাই থেকে এ বছরের মে পর্যন্ত পাথর আমদানি হয়েছে ৫ লাখ পনেরো হাজার মেট্রিক টন।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অপু অ্যান্ড আঁখি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোজাফ্ফর আহমেদ জানান, ভারতে পাথরের মূল্য বেশি। এদিকে বাংলাদেশে পাথর আমদানিতে প্রতি টনে ৫৩ টাকা নিয়মিত শুল্ক আরোপ করেছে সরকার। এ অবস্থায় পাথর আমদানি করলে আমরা লোকসান করব। তাই পাথর আমদানি আপাতত করছি না।

সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট সাইদুর রহমান বলেন, বর্তমানে পাথর আমদানি করছেন না আমদানিকারকরা। ফলে স্থলবন্দরটি একটু স্থবির হয়ে পড়েছে। আশা করছি সরকার সমস্যাটির দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেবে।

সর্বশেষ খবর