রবিবার, ১১ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

শিল্পকলায় চীনা শিল্পীদের জমকালো অ্যাক্রোবেটিক

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শিল্পকলায় চীনা শিল্পীদের জমকালো অ্যাক্রোবেটিক

মঞ্চজুড়ে আলোর খেলা। সেই আলোয় চীনা শিল্পীদের জমকালো শৈল্পিক পরিবেশনা; যাতে শিল্পীরা ফুটিয়ে তোলেন আবহমান বাংলার স্বরূপ। হাঁস, মুরগি, টিয়াসহ বিভিন্ন পাখির কিচিরমিচির, কপোত-কপোতীদের প্রেম-ভালোবাসা ইত্যাদি দুই হাতের সাহায্যে আলোর খেলায় তুলে ধরেন শিল্পীরা। অ্যাক্রোবেটিকে তুলে ধরা হয় চীনা সংস্কৃতি। গতকাল বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে ‘ম্যাজিক্যাল ওয়ার্ল্ড’ নামের আলোর খেলার পাশাপাশি অ্যাক্রোবেটিকের অনবদ্য পরিবেশনায় অন্য শিল্পীরা সমগ্র মিলনায়তনে সৃষ্টি করেন নান্দনিক সৌন্দর্যের অপরূপ সুষমা। কখনো বাংলা সংস্কৃতি, আবার কখনো চীনা সংস্কৃতি— দুই সংস্কৃতির সেতুবন্ধে বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বের অনন্য নিদর্শন তুলে ধরেন এই শিল্পীরা। চীনের নববর্ষ উপলক্ষে চীনের সিচুয়ান প্রদেশের শিল্পীরা দেখান এই নান্দনিকতা। এর আয়োজক ছিল বাংলাদেশ-চায়না কালচারাল ইকোনমিক সেন্টার (বিসিসিইসি) এবং সিচুয়ান প্রাদেশিক সরকারের পররাষ্ট্র ও বহির্বিশ্ববিষয়ক অধিদফতর। সহযোগিতায় ছিল চীনা দূতাবাস ও সিচুয়ান প্রাদেশিক সরকার। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে চীনা রাষ্ট্রদূত মা মিং চিয়াং। আরও বক্তব্য দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, সিচুয়ান সাংস্কৃতিক দলের প্রধান শেন চাও ও বিসিসিইসির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মৃধা। ‘হ্যাপিনেস’ নামের দলীয় নৃত্যের মধ্য দিয়ে জমকালো এ আয়োজনের সূচনা ঘটে। এ পরিবেশনায় বাংলাদেশ ও চীনের নানা বিষয় তুলে ধরেন তারা। এরপর সিচুয়ান প্রদেশের শিল্পীদের ‘দ্য স্ট্রেন্থ’ নামের অ্যাক্রোবেটিকের দ্বৈত পরিবেশনা মিলনায়তনের সব শিল্পানুরাগীকে বিমোহিত করে।

নৃত্য, অ্যাক্রোবেটিক, আলোর খেলা, পাপেট-শো, নৃত্যনাট্যসহ ১০টি অনবদ্য পরিবেশনা দিয়ে সাজানো ছিল বাংলাদেশ-চীন সাংস্কৃতিক অর্থনৈতিক কেন্দ্র ও চায়না-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির যৌথ আয়োজনের বৈচিত্র্যময় ও জমকালো আসর।

সর্বশেষ খবর