শুক্রবার, ৩০ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

বাংলাদেশি পোশাকের ইউরোপের ক্রেতারা নতুন চুক্তিতে

প্রতিদিন ডেস্ক

রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের কারখানাগুলোর শ্রমপরিবেশ উন্নত করতে তৈরি পোশাকের ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট ‘অ্যাকোর্ড’ নতুন চুক্তিতে একমত হয়েছে, যাতে প্রথমবারের মতো শ্রমিকদের ইউনিয়ন করার বিষয়টি রাখা হয়েছে। বিডিনিউজ।

গতকাল প্যারিসে সিঅ্যান্ডএআরএলসি ওয়াইকিকির প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে নতুন এ চুক্তির ঘোষণা দেয় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক শ্রমিক অধিকার সংগঠন ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্লোবাল ইউনিয়ন ও ইউএনআই গ্লোবাল ইউনিয়ন। চুক্তিতে সই করা ক্রেতা ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে কেমার্ট অস্ট্রেলিয়া, টার্গেট অস্ট্রেলিয়া, প্রাইমার্ক, এইচঅ্যান্ডএম, ইন্ডিটেক্স, সিঅ্যান্ডএ, ওটো, কিক, আলদি সাউথ, আলদি নর্থ, লিডল, টিসিবো, এলসি ওয়াইকিকি ও হেলি হানসেন। এ ছাড়া ইসপিরিট, হিউরেন, বেস্টসেলার, উইবরা, স্কিমড গ্রুপ, এন ব্রাউন গ্রুপ, পিভিএইচ, স্পেশালিটি ফ্যাশন গ্রুপ অস্ট্রেলিয়াও নতুন চুক্তিতে সই করবে বলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও ইউএনআইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সাভারের রানা প্লাজা ধসে হাজারের বেশি শ্রমিক নিহত হওয়ার পর ২০১৩ সালের মে মাসে ইউরোপীয় ক্রেতারা বাংলাদেশের কারখানাগুলোর শ্রমপরিবেশ উন্নতে সহযোগিতা করতে ‘অ্যাকোর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ’ চুক্তি করে। একইভাবে আমেরিকার ক্রেতাদের উদ্যোগে স্বাক্ষরিত হয় ‘বাংলাদেশ সেফটি অ্যালায়েন্স’ চুক্তি। ইউরোপীয় চুক্তিটি এবং ক্রেতাদের জোটটি ‘অ্যাকোর্ড’ নামে পরিচিতি পায়, যুক্তরাষ্ট্রেরটি পরিচিতি পায় অ্যালায়েন্স নামে। দুই অঞ্চলের ক্রেতাদের সঙ্গে সরকারের চুক্তি হয়, যার আওতায় তারা ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শন করে ছাড়পত্র দিচ্ছে। ২০১৮ সালের চুক্তির মেয়াদ পেরিয়ে যাবে বলে দ্বিতীয় পর্যায়ের পরিদর্শন চালাতে প্যারিসে নতুন করে সমঝোতা করল ইউরোপের ক্রেতারা। এতে নিরাপত্তার কারণে কোনো কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে অথবা স্থানান্তরের সময় শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি যুক্ত করে নতুন চুক্তিতে তাদের সুরক্ষার বিষয়টিকে আরও বিস্তৃত করা হয়েছে। শ্রমিকদের ক্ষমতায়নের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রথমবারের মতো এতে শ্রমিকদের ইউনিয়ন করা এবং এতে যোগ দেওয়ার বিষয়ও রাখা হয়েছে। চুক্তিতে সই করা ক্রেতারা যেসব কারখানা থেকে পোশাক নিয়ে থাকে সেসব কারখানা আরও তিন বছর পরিদর্শনের সুযোগও রাখা হয়েছে। চলমান অ্যাকোর্ডের চুক্তির আওতায় ১ হাজার ৮০০-এর বেশি কারখানার অগ্নি, বৈদ্যুতিক এবং ভবনের নিরাপত্তা পরিদর্শন করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর