জাতীয় সংসদে জনস্বার্থবিরোধী অর্থ বিল ও বাজেট পাস হওয়ায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, অর্থমন্ত্রী এ বাজেটকে তার জীবনের শ্রেষ্ঠ বাজেট বলে উল্লেখ করলেও এ বক্তব্য ব্যবসায়ীসহ জনগণের কাছে মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। পাসকৃত বাজেট জনস্বার্থবিরোধী। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ব্যাংকে গচ্ছিত আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক আরোপসহ বেশ কিছু জনস্বার্থবিরোধী প্রস্তাব উপস্থাপন করায় তা তীব্রভাবে সমালোচিত হয়। বিশেষ করে শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাট আরোপ করায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কায় জনগণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, সমালোচনা এমন পর্যায়ে পৌঁছে, সংসদে সরকারি দলের সদস্যরাও অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করেন এবং কেউ কেউ তার পদত্যাগও দাবি করেন। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কয়েকজন সিনিয়র নেতা ও মন্ত্রী অর্থমন্ত্রীকে প্রটেকশন দেন। এর পরেও পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাটের আইন দুই বছরের জন্য স্থগিত, ব্যাংকে গচ্ছিত এক লাখ টাকার ওপর আবগারি শুল্ক বাতিল, চালের আমদানি শুল্ক শতকরা ২৮ ভাগ থেকে কমিয়ে ১০ ভাগ করাসহ কিছু পদক্ষেপের জন্য অর্থমন্ত্রীকে পরামর্শ দিতে বাধ্য হন। বাজেটের ক্ষেত্রে এসব সংশোধনী প্রমাণ করে, আগামী সংসদ নির্বাচনে জনগণের তোপের মুখে পড়ার হাত থেকে বাঁচার জন্যই প্রধানমন্ত্রী ওই সব সংশোধনী আনতে বাধ্য হয়েছেন।