পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন কারাগারে বন্দীদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই বাংলাদেশি শিশু। পশ্চিমবঙ্গের কারা দফতরের তরফে ওয়েস্ট বেঙ্গল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস (ডব্লিউবিসিপিসিআর)-দেওয়া এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য। দেখা গেছে, প্রায় ৬৩ শতাংশ বাংলাদেশি শিশুই তাদের বাবা-মাদের সঙ্গে কারাগারে বন্দী জীবনযাপন করছে। ডব্লিউবিসিপিসিআর-এর চেয়ারপারসন অনন্যা চ্যাটার্জি চক্রবর্তী জানান, ২০১৭ সালের ৩০ মে পর্যন্ত রিপোর্টে দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গের ১৯টি কারাগারে মোট ২৬২টি শিশু তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে রয়েছে। এদের মধ্যে ১৬৪ জন (৬২.৫৯ শতাংশ) বাংলাদেশি শিশু। শিশুদের প্রত্যেকের বয়স ২ থেকে ৬ বছর পর্যন্ত। অনন্যা চ্যাটার্জি জানান, ডব্লিউবিসিপিসিআর-এর তরফে কারা দফতরের কাছ থেকে এ রিপোর্ট চেয়ে পাঠানোর প্রধান উদ্দেশ্যই হলো কারাগারগুলোতে অবস্থান করা শিশুরা উপযুক্ত পুষ্টি, টিকাকরণ (ভ্যাকসিন), শিক্ষার পাশাপাশি কারাগারের মধ্যে তারা হেনস্থা বা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে কি না তা জানা। প্রত্যেকেই ভালো অবস্থায় রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে তা যাচাইয়ের জন্য আগামী মাস থেকে রাজ্যের ১৯টি সংশোধনাগারে ডব্লিউবিসিপিসিআর-এর একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করবে। বাংলাদেশি শিশুসহ কারাগারে থাকা প্রত্যেক শিশুর পুষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পর তার ভিত্তিতে একটি সমন্বিত কর্মসূচি নেওয়া হবে। তবে কারাগারগুলোতে বাংলাদেশি শিশুদের সংখ্যা বেশি থাকার পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে অনন্যা চক্রবর্তী জানান, বাংলাদেশি কয়েদিরা ভারতীয় কয়েদিদের মতো নয়, নিজেদের সন্তানদের অন্য কোনো জায়গায় রেখে আসার মতো অবস্থা নেই বাংলাদেশি কয়েদিদের। আর সে কারণেই বাবা-মাদের কারাগারে পাঠানোর সময় তাদের শিশু-সন্তানদেরও সেখানে স্থান হয়।