জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারিক আদালত পরিবর্তন চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আবেদন কিছু পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেছে হাইকোর্ট। শুনানি শেষে গতকাল বিচারপতি মো. শওকত হোসেন এবং বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। আইনজীবীরা জানান, এ আদেশের ফলে খালেদা জিয়ার মামলায় আদালত পরিবর্তন হয়নি। রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম চলছে।
এখন এ আদালতেই মামলার বিচার চলবে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। ওই মামলায় এতিমদের সহায়তার জন্য একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
গ্যাটকো মামলায় আপিলের রায় আজ : এদিকে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা লিভ টু আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ রায়ের জন্য দিন ঠিক করে আদেশ দেয়। আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা প্রশ্নে খালেদা জিয়ার করা আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট। বিগত ১/১১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা দায়ের করে। ২০০৮ সালের ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয় আদালতে। মামলাটি জরুরি ক্ষমতা আইনের অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে পৃথক দুটি রিট করা হয়।