সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ভারতে পুত্রসহ সন্দেহভাজন বাংলাদেশিকে আটক

কলকাতা প্রতিনিধি

ভুয়া নথি দেখিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট ও অন্যান্য নথি সংগ্রহ করার অভিযোগে এক বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে ভারতের পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মুহম্মদ আবদুল মালেক। শনিবার মালেকের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অভিযোগ দায়ের করেছে সাইবারাবাদ শহরের পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে কর্মকর্তাদের সন্দেহ ছিল, কয়েকদিন আগে উত্তর প্রদেশ পুলিশ যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সন্ধান পেয়েছিল তাদের সঙ্গে আবদুল মালেকের যোগসাজশ আছে। এরপরই উত্তর প্রদেশ পুলিশের একটি বিশেষ টিম হায়দরাবাদে গিয়ে মালেকের খোঁজে অভিযান চালায় এবং জানতে পারে যে, ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে মালেকেরও যোগসাজশ রয়েছে।  এই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরই সাইবারাবাদের রাজেন্দ্রনগর থানার পুলিশ সান সিটিতে তাদের বাসায় গিয়ে মালেক, তার বড় ছেলে মুহম্মদ ফয়জউল্লাহ (২০) এবং নাবালক ছোট ছেলেকে আটক করে।

এ ব্যাপারে সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার সন্দ্বীপ সান্ডিল্য জানান, ‘প্রতারণা করে ভারতীয় পাসপোর্ট ও অন্য নথি সংগ্রহের যে অভিযোগ এসেছে, তা নিশ্চিত করতেই আমরা মালেক এবং তার বড় ছেলেকে আটক করেছি’।

পুলিশ সূত্রে খবর ২০০৯ সালে সৌদি আরব থেকে ভারতে আসে বাংলাদেশ পাসপোর্টধারী আবদুল মালেক। এরপর হায়দরাবাদেই বসবাস করতে শুরু করে এবং উপার্জনের জন্য ফলস সিলিং তৈরির কাজে যুক্ত হয় সে। শেষে স্থানীয় নথি জোগাড় করে ভারতীয় পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড এবং অন্যান্য নথি বানিয়ে ফেলে মালেক।

মালেকের দাবি, তার স্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বাসিন্দা। রাজেন্দ্রনগরে একটি বিশাল তিন তলা বাড়িও তৈরি করে। সেখানেই স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে থাকত মালেক। তবে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা নাশকতামূলক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে তার জড়িত থাকার প্রমাণ এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

তবে প্রাথমিক তদন্তে মালেকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ মিলেছে কারণ বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ভারতে এসেই সে ভারতীয় পাসপোর্ট জোগাড় করে ফেলে। এই অভিযোগে মালেকের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা এবং পাসপোর্ট আইনে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় পাসপোর্ট পেতে মালেক কি কি নথি জমা দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা এখন সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে। পাশাপাশি এ কাজে মালেককে কেউ সহায়তা করেছিল কি না, তাও জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা। 

সর্বশেষ খবর