স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, দেশের বেশির ভাগ স্থানেই মাদকের সিন্ডিকেট শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তারা পুলিশের নজরদারিতে আছে। এ ছাড়া নতুন নতুন লোক মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে বিধায় সিন্ডিকেটের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। গত জুলাই পর্যন্ত ৫৯ হাজার ৭৮৩টি মামলা করে ৭৫ হাজার ৩২৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। সংসদের ১৭তম অধিবেশনে গতকালের বৈঠকের প্রশ্নোত্তর পর্বে রুস্তম আলী ফরাজীর (পিরোজপুর-৩) প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। মন্ত্রী জানান, মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে মাদকের সরবরাহ বন্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সব বাহিনী মাদক ব্যবসায়ী এবং অবৈধ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। বিনা বিচারে কোনো বন্দী আটক নেই : চট্টগ্রাম-১২ আসনের এমপি সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, বর্তমানে বিনা বিচারে কোনো বন্দী দেশের কারাগারগুলোতে আটক নেই। তবে ৫ বছর বা তদূর্ধ্ব সময় ৫৬৬ জন বন্দীর বিচারকাজ চলমান রয়েছে।  তিনি আরও জানান, চলতি বছরের কারাবন্দীদের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ জানানো হয়েছে। জঙ্গিসহ সব অপরাধীর কর্মকাণ্ড রোধে ব্যবস্থা : মানিকগঞ্জ-২ আসনের এমপি মমতাজ বেগমের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট গঠন করে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

জঙ্গি ও সন্ত্রাসীসহ  অপরাধীদের কর্মকাণ্ড রোধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। দেশে অবস্থানরত কূটনীতিক, বিদেশি নাগরিক, পর্যটন এলাকায় ভ্রমণকারী বিদেশি পর্যটকসহ গুরুত্বপূর্ণ ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে টেকসই উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শর্ত হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিতকরণ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরলস প্রচেষ্টায় যে উন্নয়ন হচ্ছে তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সরকার দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।