মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
বাল্যবিয়ে

শ্যালকের জন্য জেলে ঢুকলেন দুই দুলাভাই

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

পূর্ণিমা খাতুন সদর উপজেলার হরিণারায়নপুর বালিকা বিদ্যালয় ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। গতকাল দুপুরে তার বিয়ের আয়োজন চলছিল। বরসহ লোকজন এসে হাজির। প্যান্ডেলে চলছিল খানাপিনা। তখন হঠাৎ করেই বিয়ে বাড়িতে এসে হাজির হন পুলিশ প্রশাসনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তাদের হস্তক্ষেপে বন্ধ করা হয় বাল্যবিয়ে। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত জেলে পাঠায় বরের দুই দুলাভাইসহ চারজনকে। এসব ঘটনা ঘটে সদর উপজেলার হরিণারায়নপুর ইউনিয়নের পূর্ব আবদালপুর গ্রামে। জানা গেছে, গ্রামের চেতন মণ্ডল তার ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে পূর্ণিমার সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেন একই উপজেলার মতটপাড়া গ্রামের তোইজ উদ্দিনের ১৮ বছর বয়সী ছেলে মুসা উদ্দিনের। গতকাল দুপুরে বিয়ের দিন ধার্য ছিল। যথাসময়ে মাইক্রোসহ আরও যানবাহনে চেপে বরযাত্রী ও তার বাড়ির লোকজন আসেন। শুরু হয় খানাপিনা।

তবে বিয়ে পড়ানো ও রেজিস্ট্রির কাজ যখন বাকি ছিল, তখন হঠাৎ করেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার অফিসার ইনচার্জ রতন শেখ পুলিশ নিয়ে হাজির হন। পুরো বাড়িতে হৈ চৈ পড়ে যায়। অনেকে পালানোর চেষ্টা করেন। অবশ্য তার আগেই বিয়ে বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশের সদস্যরা। এ সময় মহিলা অধিদফতরের কর্মকর্তারাও সেখানে ছুটে আসেন। আটক করেন বর মুসা, তার দুই বোনের স্বামী ইবদার ও রাশিদুল, দাদা ও কনের পিতা চেতন মণ্ডলকে। এর মধ্যে বরের বোনের দুই স্বামীকে ৭ দিনের জেল, বরকে ১৫ দিনের ও কনের পিতাকে ১৫ দিনের জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। আর বরের দাদা বয়স্ক হওয়ায় তাকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবাদত হোসেন এ জেল-জরিমানা করেন। ইবাদত হোসেন জানান, বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় বর ও কনের পিতাসহ কয়েকজনকে জেল দেওয়া হয়েছে। একজনকে জরিমানা করা হয়েছে। জানা গেছে, শ্যালকের বিয়ের জন্য দুই দুলাভাই ইবদার ও রাশিদুল বেশি আগ্রহী ছিলেন।

 

সর্বশেষ খবর