কক্সবাজারের টেকনাফ বঙ্গোপসাগরে ফিশিং ট্রলার থেকে ৮ লাখ পিস ইয়াবা ও মিয়ানমারের ৩ নাগরিকসহ চারজনকে আটক করেছে র্যাব-৭। গতকাল বিকাল ৫টায় টেকনাফ অস্থায়ী ক্যাম্পে র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. রুহুল আমিন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তিনি ও এএসপি সৈয়দ মোহসিনুল হকের নেতৃত্বে র্যাবের একটি টিম ফিশিং ট্রলারে একটি ইয়াবার বড় চালান মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের দিকে যাত্রা করার গোপন সংবাদে গতকাল ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এলাকার গভীর সমুদ্রে একটি ট্রলারকে ধাওয়া করে আটক করে। পরে ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে ৮ লাখ পিস ইয়াবার প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা হলো— টেকনাফের ধুমপারার বিল এলাকার মো. আলী (৪৫), মিয়ানমার মংডু হাইসুরাতা এলাকার হাফিজুল্লাহ (২৪), নারীর বিল এলাকার আলম (৪৫) ও বুচিদং কিতার বিল এলাকার মো. জমিল (২৪)।
উদ্ধারকৃত ইয়াবার মূল্য ৪০ কোটি টাকা বলে জানা যায়। র্যাব কর্মকর্তা জানান, মিয়ানমার ও দেশীয় চোরাকারবারিদের কয়েকটি সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্র মাছ ব্যবসার আড়ালে ইয়াবার চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসছে। এর ফলে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম সমুদ্র টহল জোরদার করে। টেকনাফ থেকে চট্টগ্রাম রুটে অভিযান চালিয়ে ইয়াবার বেশ কয়েকটি বড় বড় চালান আটক করা হয়।
তিনি জানান, র্যাব-৭ চট্টগ্রাম চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ কোটি ৩০ লাখ ১২ হাজার ৮৬৫ পিস ইয়াবা, ৪৫ হাজার ৯৪ বোতল ফেনসিডিল, ৩ হাজার ১৪১ বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার, ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৩০২ লিটার দেশীয় তৈরি মদ, ৬২২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ১ কেজি ২০০ গ্রাম হেরোইন এবং ২ কেজি ৪০০ গ্রাম আফিম উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের লাখ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে শরণার্থী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এরই ফাঁকে মাদক পাচারকারী সংঘবদ্ধ চক্র মরণ নেশা ইয়াবা পাচারে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এসব ইয়াবা পাচারকারীকে বের করে শাস্তির ব্যবস্থার দাবি করেছেন এলাকাবাসী।