শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ, মিয়ানমার সীমান্তে দুটি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট খুলল ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সহিংসতার জেরে সেদেশ থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে যখন তোলপাড়, ঠিক সে সময়ই মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর দুটি নতুন অভিবাসন চেকপোস্ট (ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট) খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই দুটি মিজোরামের লুংলেই ও লংরথলাই জেলায়। বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা নিয়েই এই দুই সীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশী দুই দেশে ভ্রমণ করা যাবে। শনিবার ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে জারি করা এক গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, ‘ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার মিয়ানমার সীমান্ত বরাবর মিজোরামের লংরথলাই জেলার  জোরিনপুরি ল্যান্ড চেকপোস্টকে অভিবাসন চেকপোস্ট হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে, যেখান দিয়ে বৈধ ট্রাভেল ডকুমেন্ট সঙ্গে নিয়ে সব শ্রেণির যাত্রী ভারত থেকে মিয়ানমার এবং মিয়ানমার থেকে ভারত যাতায়াত করতে পারবেন।’

অন্য একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ‘বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিজোরামের লুংলেই জেলার কওরপুইছুয়া ল্যান্ড চেকপোস্টকে অভিবাসন চেকপোস্ট হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সীমান্ত দিয়ে বৈধ ট্রাভেল ডকুমেন্ট সঙ্গে নিয়ে সব শ্রেণির যাত্রী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পারবেন। মূলত কালাদান বহুমুখী প্রকল্পের কারণেই ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত বরাবর মিজোরামের জোরিনপুরিকে নতুন ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন (এলসিএস) হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের সিট্টওয়ে সমুদ্র বন্দর থেকে ২৮৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জোরিনপুরি। ২০১২ সালের মে মাসে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মিয়ানমার সফরকালেই জোরিনপুরি নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশ নদী সীমান্ত বরাবর মিজোরামের একটি এলাকা হলো কওরপুইছুয়া।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর