সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, যারা আমাদের জনপ্রতিনিধি বানিয়ে চেয়ারে বসিয়েছে আমরা যদি তাদের সেবা না করি তাহলে পদের কী স্বার্থকতা। তিনি গতকাল সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন সংক্রান্ত এক সভায় বক্তৃতা করছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসমিন বিনতে জেবিন শেখ। উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুত্ফর আহমেদ স্বপন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, উপজেলা প্রধান প্রকৌশলী তারেক আহম্মেদ প্রমুখ।
শামীম ওসমান বলেন, জনগণ আমাদের চেয়ারে বসিয়েছে। তাদের কারণেই আমরা পদ পেয়েছি। কাজেই তাদের জন্য আমাদের কাজ করতেই হবে। তিনি উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, উন্নয়ন কাজের জন্য কোথা থেকে বরাদ্দ আনতে হবে সেটা আপনারা প্রসেসিং করে কাগজপত্র তৈরি করেন। বরাদ্দ করার জন্য আমার দুই ঘণ্টা প্রয়োজন। আপনারা আমায় ব্যবহার করুন। তিনি বলেন, এলাকার উন্নয়ন প্রশ্নে সবাই এক এখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি বা জাতীয় পার্টির প্রশ্ন নেই।ডিএনডি প্রকল্পের বরাদ্দ মঞ্জুর করানোর জন্য কী কী প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে হয়েছে তা বর্ণনা করে শামীম ওসমান বলেন, সংসদে সরাসরি বলেছি বরাদ্দ দিতে না পারলে হয় মন্ত্রী পদত্যাগ করবেন না হয় আমি পদত্যাগ করব। বরাদ্দ না পেলে রাজনীতি থেকে অবসর করতে চেয়েছি। অনশন করতেও চেয়েছি। তিনি বলেন, সবার দোয়ায় এই প্রকল্পের ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। আশা করি বরাদ্দ ৮০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। কারণ এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী মুনাফার জন্য কোনো কাজ করে না। সেজন্য তারা বরাদ্দ বাড়ানোর আবেদন করলে তা পেয়ে যায়।
সভায় এক চেয়ারম্যান এমপির উদ্দেশে বলেন, তার এলাকা ফতুল্লায় খালগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে। প্রতিকার চেয়ে তিনি ইউএনওর কাছে দেড় মাস আগে লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার হলো না। শামীম ওসমান বলেন, আপনি আমার কাছে কিন্তু কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। কেউ কাজ না করলে কাজ করানোর প্রক্রিয়া আছে। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানাব।