বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন, প্রদীপ প্রজ্বালন, বুদ্ধপূজাসহ নানা সমারোহে পালিত হয়েছে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা। গতকাল বাংলাদেশ বুদ্ধিষ্ট ফেডারেশন ও কমলাপুর ধর্মরাজিক মহাবিহারে বাংলাদেশ কৃষ্টি প্রচার সংঘের আয়োজনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
তবে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর হাতে রোহিঙ্গা নির্যাতনের কারণে এবারের প্রবারণা পূর্ণিমার ফানুস উত্তোলনের পরিধি সংকুচিত করা হয়েছে। এখান থেকে কিছু অর্থ বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ হিসেবে পাঠানো হয়েছে।
বৌদ্ধ ধর্মমতে, ভিক্ষু-শ্রমণ ও উপাসক-উপাসিকারা আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা— এই তিন মাস শীল, সমাধি ও প্রজ্ঞা সাধনার অধিষ্ঠান গ্রহণ করেন। এই ত্রৈমাসিক বর্ষাবাসব্রত অধিষ্ঠানের শেষ দিবসটিকে বৌদ্ধ আভিধানিক শব্দে ‘প্রবারণা’ বলা হয়। একে বৌদ্ধ পরিভাষায় আশার তৃপ্তি বা অভিলাষ পূরণও বলা হয়।প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন, বুদ্ধপূজা, প্রার্থনা, ভিক্ষু সংঘে পিণ্ডদান ও প্রবারণা পূর্ণিমার বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়িতে এবার সাড়ম্বরে পালিত হয়েছে প্রবারণা পূর্ণিমা। সকালে বান্দরবানের রাজার মাঠে রথযাত্রা উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়।