কুমিল্লার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল প্লাজায় অনিয়মের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা-গোমতী সেতু এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা বলছেন, টোলপ্লাজায় অনিয়ম দুর্নীতির কারণে প্রায়ই যানজট সৃষ্টি হয়ে তা দীর্ঘস্থায়ী রূপ নিচ্ছে। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, গতকাল সেতু এলাকা থেকে হরিপুর পর্যন্ত দাউদকান্দির অংশে ১০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়। এ কারণে ঘণ্টার ঘণ্টার পর যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গ্রীন লাইন বাসের চালক নূর হোসেন বলেন, দাউদকান্দি টোল প্লাজায় শৃঙ্খলার অভাবে যানজট নিয়মিতভাবে হচ্ছে। ফলে ভুগতে হচ্ছে যাত্রী এবং চালকদের।
এদিকে একই অভিযোগ তুলেছেন চেয়ারম্যানরা। তারা গতকাল কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বক্তব্য রাখেন। এ সময় দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন বলেন, টোলপ্লাজায় মাইকিং করে গাড়ি প্রতি ২ হাজার টাকা করে টোল আদায় করা হচ্ছে। এতে করে মহাসড়কে দীর্ঘ হচ্ছে যানবাহনের সারি। এখানে ওজন বড় কথা নয়, টাকা পরিশোধ করতে পারলে গাড়ি ছাড়া হয়, নতুবা গাড়ি আটকে যানজট তৈরি করা হয়। এগুলো বন্ধে সরাসরি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। নতুবা কোনোদিনও এসব সমস্যার সমাধান হবে না।
সভায় বক্তব্য রাখেন কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা.মজিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী, সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম টুটুল, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন, মেঘনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা ও হোমনা পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম।পরে টোল প্লাজা সংক্রান্ত অভিযোগের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরুজ্জামান তালুকদার জেলা সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলীর প্রতিনিধিকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান।