রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

পাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থী কর্মচারী সংঘর্ষ ভাঙচুর, আহত ১৫

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্যাম্পাসে ব্যাপক ভাঙচুর হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। গতকাল বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। পাবনা সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এবনে মিজান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ডা. আবদুল আলীমকে এক কর্মচারীর হাতে লাঞ্ছিত হওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। বেলা ১১টার দিকে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থী ও লিটন নামে এক কর্মচারীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় নিরাপত্তা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামসহ চার-পাঁচজন আহত হন। পরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংগঠিত হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করতে গেলে ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এ সময় ক্যাম্পাসে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীরা ৩০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।

আহতদের মধ্যে ৯ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির সভাপতি শামস সাদ ফকরুল বলেন, ‘শিক্ষকদের উসকানিতে একদল শিক্ষার্থী এসে আমাদের কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাধা দিতে গেলে তারা সংগঠিত হয়ে আবারও এসে আমাদের ওপর হামলা করে। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় তারা কর্মকর্তাদের প্রায় ৫০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বসে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় আমাদের ১২ জন আহত হয়েছে।’ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের অনেক সম্পদ নষ্ট করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হয়ে একজন শিক্ষকের শরীরে হাত তুলেছে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষক লাঞ্ছনার কর্মসূচি পালন করছিলাম। কর্মচারীরা আমাদের ওপর হামলা করলে এ খবর পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে।

 পড়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে।’ এ বিষয়ে পাবিপ্রবির প্রক্টর আওয়াল কবির জয় বলেন, ‘দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বিষয়টি নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে যারা দায়ী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। বিচারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা আজকের জন্য কর্মসূচি সমাপ্ত করেছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর