মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

রূপগঞ্জে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, ফাঁকা গুলি হামলা, ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় এক পক্ষ আরেক পক্ষের অফিস ও বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করেছে। রবিবার রাতে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে ঘটে এ সংঘর্ষের ঘটনা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চনপাড়া এলাকার মাদকসম্রাট বিউটি আক্তার কুট্টির মাদক ব্যবসায় বাধা দেয় এলাকার সাধারণ মানুষ। গত এক মাস আগেও কুট্টি বাহিনীর লোকের সঙ্গে এলাকাবাসীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ওই সময় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়।

রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিউটি আক্তার কুট্টি সমর্থিত মাদক বিক্রেতা শাহাদাত নামে এক কর্মীকে মাদক ব্যবসা করতে নিষেধ করে চনপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কুট্টি বাহিনীর লোকেরা ধারালো ও বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলাকার প্রতিবাদী লোকজনের ওপর হামলা চালায়। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, দোকানপাট, অফিস, বাড়িঘর ভাঙচুর ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এ সময় প্রায় ১০০ থেকে ১০৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে করে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন  ছোটাছুটি করতে শুরু করে। প্রায় ১০ থেকে ১৫টি দোকানঘর, অফিস ও বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।

খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়। এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানিয়েছেন, কয়েক দিন পর পরই কুট্টির গ্রুপের লোকেরা গোলাগুলি, হামলা-ভাঙচুর ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আহত হচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পথচারীরাও। কুট্টির ডাকে না গেলেই নির্যাতন, হামলা-মামলা শুরু হয়। এ থেকে রেহাই পেতে চায় চনপাড়াবাসী। নিরীহ ও সাধারণ মানুষ তাদের হামলার আতঙ্কে থাকে সব সময়।

এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদের সভাপতি আনোয়ার হোসেন জানান, বিউটি আক্তার কুট্টিসহ তার লোকজন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আনোয়ার হোসেনের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে অন্তত ১০ থেকে ১২ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে। এ ছাড়া কুট্টির ভাই শাহজাহান যুবদল করেন। তিনি মিছিল বের করে আর আমরা এ মিছিলে বাধা দেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কুট্টি ও তার ভাই বাহিনী নিয়ে হামলা চালায়।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশি অভিযান চলছে।

সর্বশেষ খবর