মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

নির্বাচন আর রোহিঙ্গা মেলানোর যুক্তি নেই

—যুবলীগ চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি ২০১১ সালের অক্টোবরেও রোড শো করেছিল। আর ২০১৭ সালে রোড মার্চের নামে রোড ক্যু করেছে। নির্বাচন আর রোহিঙ্গা একসঙ্গে মেলানোর কোনো যুক্তি নেই। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল বাদ আসর যুবলীগ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সুস্থতা কামনা করে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাঈনউদ্দিন রানার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি বায়েজিত আহম্মেদ খান প্রমুখ। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন যুবলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, খালেদা জিয়া রোহিঙ্গা শিবির পর্যন্ত গেলেন গাড়িবহর নিয়ে। পথে পথে লোক জড় হলো। কিন্তু তাদের ব্যানারে দেখা গেল তারা সবাই মনোনয়নপ্রত্যাশী। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে একটি ব্যানার বা ফেস্টুন দেখা গেল না। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কোলে নেবেন তাই নতুন জামাকাপড় পরিয়ে একটি শিশুকে আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিলেন। বেগম জিয়া কোলে নিলেন। সুন্দর হাসিমুখ করে আদর করলেন। বেগম জিয়ার হাসিমুখ দেখে নেতা-কর্মীরা সবাই হাসিতে উচ্ছল হয়ে উঠল। সবাই ভুলে গেল এরা ক্যাম্পের শিশু। নির্যাতিত শুধু নয়, দেশহারা মানুষ। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে আজও বেঁচে আছে। পথহারা দেশহারা মা-হারা শিশুকে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, শেখ রেহানার পুত্রবধূ কোলে নিয়েছিলেন। রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবতা দেখে শেখ হাসিনাকে মাদার অব হিউম্যানিটি (মানবতার জননী) বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব-ঐতিহ্য বা গ্লোবাল হেরিটেজ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রেরণা। ৭ মার্চের ভাষণ সব ধরনের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে বজ্রতুল্য ঘোষণা। ৭ মার্চের ভাষণ এখন বিশ্বসম্পদ। ৭ মার্চের ভাষণ নিরস্ত্র জাতিকে স্বাধীনতার জন্য উদ্বুদ্ধ করা। মাত্র ১৯ মিনিটের একটি ভাষণ রচনা করল নতুন ইতিহাস। একটি মাত্র ভাষণ নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করল। পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ দালিলিক ঐতিহ্য হলো। আসলে বুকে জমা কথাগুলোই বলেছিলেন শেখ মুজিব। এ ক্ষেত্রে তাকে নিজের ওপর ভরসা রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন পত্নী ফজিলাতুন নেছা মুজিব। আজ ৪৭ বছর পর তা হয়ে ওঠে সমগ্র দেশ ও জাতির গৌরবের সম্পদ। ইউনেস্কো বিশ্ব-ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে গ্রহণ করল। জাতির এই আনন্দক্ষণে আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সেই ভাষণের স্রস্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

সর্বশেষ খবর