মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
ভর্তি জালিয়াতি

জাবিতে আরও ছয়জন আটক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আবারও ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগে ছয়জনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল মৌখিক পরীক্ষার সময় উত্তরপত্রের লেখার সঙ্গে হাতের লেখার মিল না পাওয়ায় তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন— নিশাদ আহমেদ, নাঈমুর রহমান সরকার, আশরাফুজ্জামান নয়ন, মাহমুদুল রশিদ সৌরভ ও নাঈমুর রহমান। তারা সবাই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন। এ ছাড়া মো রিজওয়ান নামের এক ব্যক্তিকেও আটক করা হয়। তবে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘নিশাদ ও নাঈমুর আমাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। জালিয়াতির বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না।’

প্রসঙ্গত, রবিবার মাহবুব হোসেন, ইমাম হোসেন, অমিত হাসান ও আশিকুল হাসান রবিন নামের আরও চার শিক্ষার্থীকে একই অভিযোগে আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। 

প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থানার মুন্সীপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে নিশাদ আহমেদ। সে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের ছাত্র। আইন ও বিচার বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় ৪৭তম অবস্থানে ছিল। তার রোল নং-৬৩২১৩৬। এ সময় সঙ্গে আসা তার বড় ভাই ছাত্রদল কর্মী নাঈমুর রহমান সরকারকেও আটক করা হয়। প্রক্সি দেওয়ার জন্য সে ৩ লাখ টাকা চুক্তি করেছিল।

যশোরের ঝিকরগাছা থানার বাকুড়ার আবুল কাশেমের ছেলে আশরাফুজ্জামান নয়ন সি ইউনিটে ১৭তম স্থান লাভ করে। সে যশোর এম এম কলেজের অর্থনীতি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী। ১ লাখ টাকার বিনিময়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি করে প্রক্সি পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ পায়। তার রোল নং-৩৪২৪৭৬। 

গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার হারুনুর রশিদের ছেলে মাহমুদুল রশিদ সৌরভ ‘ই’ ইউনিটে ১৫২তম অবস্থানে ছিল। গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের এই ছাত্র ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রক্সির ব্যবস্থা করে। তার রোল নং-৫২৩২৫৩।

নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থানার হাতিখানা গ্রামের আশেকুর রহমানের ছেলে নাঈমুর রহমান ‘ই’ ইউনিটে ১২৭তম অবস্থানে ছিল। সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের এই ছাত্র সুবির নামের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রক্সির ব্যবস্থা করে। ইতিমধ্যে সে ১ লাখ টাকা পরিশোধও করেছে। তার রোল নং-৫২৬০৯৮।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, ‘তারা ভর্তি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকায় তাদের আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. লোকমান হোসেন  বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে। থানায় নিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর