বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
নোট-গাইডের ১২ ব্যবসায়ী ও প্রকাশনীর মালিক

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধান করবে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

নোট-গাইড প্রকাশনীর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ১২ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করবে দুদক। এ ছাড়া গতকাল থেকে নোট গাইড ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল আকস্মিকভাবে গতকাল রাজধানীর পাঁচটি মার্কেটে অভিযান চালায়। বিষয়টি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য। গতকাল দুদকের বিশেষ দল আকস্মিকভাবে নীলক্ষেত, হজরত শাহজালাল মার্কেট, বাবুপুরা মার্কেট, বাকুশাহ মার্কেট, ইসলামীয়া মার্কেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে অনুসন্ধান চালায়। অভিযানে দুদকের দল দেখতে পায়, বাজারের প্রতিটি দোকানে অননুমোদিত ও নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের ছড়াছড়ি। দ্বিতীয়  থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য বিভিন্ন নামে বিভিন্ন কোম্পানির গাইড বই বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণির গাইড বইয়ের অন্যতম প্রকাশনী পাঞ্জেরী, লেকচার, অনুপম, নবদূত, জননী, পপি ও জুপিটার। নবম ও দশম শ্রেণির গাইড বইয়ের প্রকাশনী পাঞ্জেরী, লেকচার, অনুপম, রয়েল, আদিল, কম্পিউটার ও জুপিটার এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির গাইড বইয়ের প্রকাশনী হিসেবে লেকচার, পাঞ্জেরী, জ্ঞানগৃহ, জুপিটার, পপি, মিজান লাইব্রেরি, কাজল ব্রাদার্স, দি রয়েল সাইন্টেফিক পাবলিকেশন্সের বই পাওয়া যায়। সূত্র আরও জানায়, এসব গাইড বই, টেস্ট পেপার, সহায়ক বই, মেড ইজিসহ বিভিন্ন নামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। শ্রেণিভিত্তিক গাইড বইয়ের পাশাপাশি ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্স শ্রেণির বিভিন্ন গাইড বই এবং প্রফেসর’স, ওরাকল, এমপিও, থ্রি ডক্টরস ও সাইফুরসের চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন গাইড বাজারে রয়েছে। দেশে ১৯৮০ সাল থেকে নোট বই নিষিদ্ধকরণ আইন আছে। এই আইন অনুসারে গাইড ও নোট বই ছাপা ও বাজারজাত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ ছাড়া ২০০৮ সালে নির্বাহী আদেশে নোট বই ও গাইড বই নিষিদ্ধ করা হয় এবং ২০০৯ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ নোট বা গাইড বই নিষিদ্ধের জন্য ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ জারি করেন।

দশে  নোট-গাইড নিষিদ্ধের আইন থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সব শ্রেণির নোট গাইড প্রকাশ্যে বাজারে বিক্রি হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে এবং পাশাপাশি এই অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে যেসব প্রকাশনা সংস্থা অবৈধ সম্পদ অর্জন করছেন তাদের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে দুদক। গত মঙ্গলবার দুদকের বিশেষ তৎপরতায় অবৈধভাবে পরিচালিত ছয়টি কোচিং সেন্টারের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। শিক্ষাক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে দুদক ৩৯ দফা সুপারিশ করেছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর