শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

পদ্মা সেতুর আদলে হচ্ছে বাণিজ্য মেলার ফটক

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

পদ্মা সেতুর আদলে হচ্ছে বাণিজ্য মেলার ফটক

পদ্মা সেতুর আদলে তৈরি হচ্ছে ঢাকা বাণিজ্য মেলার গেট —বাংলাদেশ প্রতিদিন

কয়েক বছর ধরে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার প্রধান ফটক সাজানো হচ্ছিল কার্জন হলের আদলে। এবার মূল ফটকে পরিবর্তন এনে দেশের মানুষের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানো হচ্ছে। এটি সাজানো হচ্ছে স্বপ্নের প্রকল্প পদ্মা সেতুর আদলে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের আবহ এবারের মেলায় তুলে ধরা হবে।

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে। সে কারণেই পুরো মেলাজুড়ে ভাষণের ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) ও মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, পদ্মা সেতু নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের যে স্বপ্ন আছে আমরা সেই স্বপ্নকে ধারণ করেই মেলার প্রধান ফটকের নকশা তৈরি করেছি। পদ্মা সেতুতে যে স্প্যান বসেছে ফটকে সেই স্প্যানের আদলটিই ফুটিয়ে তোলা হবে। আর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ থাকছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার কারণে।

প্রতি বছরের মতো এবারও রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের গণপূর্ত বিভাগের খোলা জমিতে মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। ২০১৮ সালের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।

গতবারের মতো এবারও ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় তৈরি হচ্ছে সুন্দরবন। দর্শনার্থীদের কাছে মেলার আকর্ষণ বাড়াতে ও নান্দনিক আবহ রাখতে সুন্দরবনের আদলে থাকছে একটি পার্ক। তবে গতবারের চেয়ে এবারের সুন্দরবন পার্কটি আরও বড় পরিসরে তৈরি হচ্ছে। মেলার আয়োজকরা জানান, আগে মেলায় ঢুকলে সুন্দরবনের পার্কটি দেখা যেত না। এবার সেটি বড় করে গেটের কাছাকাছি আনা হচ্ছে, যাতে গেট থেকেই দেখা যায়। পার্কে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও নানা বর্ণের পাখির পরিচিতির জন্য থাকছে পৃথক ফিশ অ্যাকুরিয়াম ও বার্ড অ্যাকুরিয়াম।

আয়োজকরা আরও জানিয়েছেন, মেলায় এ বছরও থাকছে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। এটি আরও তথ্যবহুল ও সমৃদ্ধ হবে। আয়তন হচ্ছে আগের তুলনায় দ্বিগুণ। বঙ্গবন্ধুর ওপর দেশের প্রথিতযশা চিত্রশিল্পীদের আঁকা ২৬টি চিত্রকর্ম থাকছে। মূলমঞ্চে প্রতি বৃহস্পতিবার থাকবে দেশীয় লোকজ ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ছাড়া  মেলায় থাকবে ডিজিটাল টাচস্ক্রিন। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্টল ও প্যাভিলিয়ন চেনা যাবে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য থাকছে ২৬টি স্টল। বিদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য রাখা হয়েছে ১৮টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ৮টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২৭টি প্যাভিলিয়ন।

গতবার মেলায় ৮০ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ পেয়েছিল দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। এবার শত কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ পাওয়ার আশা করছেন মেলা সংশ্লিষ্টরা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ছাড়াও এখন পর্যন্ত ১৭টি দেশ মেলায় অংশগ্রহণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দেশগুলো হল ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, ভিয়েতনাম, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল ও হংকং। দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের স্টল ও প্যাভিলিয়ন মিলিয়ে ৫৪০টি প্রতিষ্ঠান এবার মেলায় অংশ নিতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর