শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

২০১৮ সালে সরকারকে উচ্চমূল্যে বিদায় নিতে হবে : আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ২০১৮ সালে সরকারকে উচ্চমূল্য দিয়ে বিদায় নিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০১৮ সাল হবে গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতা, আইনের শাসন, নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে আনার বছর।

তিনি গতকাল দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘রাজনীতি-স্বার্থ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা : প্রতিবেশীর ভূমিকা’ শীর্ষক এক গণ-বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন। ‘জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ এ বৈঠকের আয়োজন করে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, জিনাফ সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আমীর খসরু আরও বলেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা জেনেশুনেও সরকার তাকে সম্পৃক্ত করছে। কারণ তাদের সামনে এখন আর কোনো পথ নেই। তবে আমি বলতে চাই, এ পথে সরকার না গেলেই তাদের জন্য ভালো হবে। আমি তাদের আবারও বলতে চাই, পিচ্ছিল পথে দয়া করে যাবেন না। আগে এই পথে চলতে গিয়ে অনেক মূল্য দিয়েছেন। আগামী দিনে আরও বড় মূল্য দিতে হবে।’ রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘রংপুর সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ৬০ শতাংশ ভোট কমেছে। আর বিএনপির ৪০ শতাংশ ভোট বেড়েছে। এই অনুপাতটা সারা দেশে চিন্তা করেন। আমি আওয়ামী লীগের একটি আসনও জেতার কোনো কারণ দেখতে পাচ্ছি না।’

বেগম খালেদা জিয়ার মামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রজেক্টের একটি অংশ। এই প্রজেক্টের কাজ হলো, বাংলাদেশের জনগণকে নির্বাচনের বাইরে রেখে ক্ষমতা দখলে রাখা। এর আওতায় তারা অনেক ঘটনা ঘটাচ্ছে। এর মধ্যে আছে গুম, ক্রসফায়ার, মিথ্যা মামলা, জেল, মানুষকে পঙ্গু করা, এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাসী সৃষ্টি, সম্পদ ও ব্যবসা দখল করা। সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট হচ্ছে, বেগম খালেদা জিয়াকে আগামী নির্বাচনের বাইরে রাখা। আর এই প্রজেক্টকে সফল করার জন্যই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর