শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
গৃহবধূর মৃত্যু

ঠাকুরগাঁওয়ে মামলা গ্রেফতার ১

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার খোলরা গ্রামে শালিসির নামে দোররা মেরে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই যৌতুক নিয়ে স্বামী জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে টানাপড়েন ছিল মৌসুমী আক্তারের। কয়েকবার মৌসুমীকে মারধর করে বাপের বাড়ি পাঠিয়েও দেওয়া হয়। তবে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ২০ ডিসেম্বর রাতে শালিসি ডাকে স্বামীর পরিবার। শালিসে দেওয়া রায়ে ১০১টি দোররা মারা হয় মৌসুমীকে। পরদিন ২১ ডিসেম্বর মারা যান মৌসুমী। এ ঘটনায় নিহতের বোন ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর ও শালিস সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০ জনের নামে হরিপুর থানায় ২১ ডিসেম্বর হত্যার অভিযোগ এনে একটি এজাহার করেন। তবে থানা পুলিশ একে হত্যা মামলা হিসেবে না নিয়ে অপমৃত্যু মামলা হিসেবে নেয়।

স্বজনদের চাপে মৌসুমীর ময়নাতদন্তের উদ্যোগ নিলেও পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।

পুলিশ জানিয়েছে, শালিসদের অন্যতম কাজী আবুল কালামকে অপমৃত্যু মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাত ১১টায় জাহাঙ্গীরের বাসায় গ্রাম্য শালিসি বসিয়ে কাজী আবুল কালামের নির্দেশে ‘শরিয়াহ মোতাবেক’ মৌসুমীকে তওবা পড়ানো হয়। এরপর ১০১ দোররা মারা হয়। তখন মৌসুমীর চিৎকারে তিনি ও অনেকে ছুটে আসেন। কিন্তু গ্রাম্য মাতব্বরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। আমগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পাভেল ইসলাম বলেন, এভাবে দোররা মেরে শালিসি করা আইনত দণ্ডনীয়। অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। অন্যদিকে গৃহবধূ মৃত মৌসুমীর শরীরে বেত্রাঘাতের দাগ থাকার পরও হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল কুদ্দুস বলেন, এটি আত্মহত্যা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর