বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

জাল টাকা ও রুপি তৈরির গুরুসহ গ্রেফতার ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে পৃথক অভিযানে বাংলাদেশি জাল টাকা ও ভারতীয় জাল মুদ্রা তৈরি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন— দরুদুজ্জামান বিশ্বাস ওরফে জামান, তরিকুল ইসলাম, মজিবুর রহমান ও জয়নুল আবেদিন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০ লাখ জাল টাকা এবং ১২ লাখ ২৮ হাজার জাল রুপি পাওয়া যায়। পুলিশ বলছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে দরুদুজ্জামান ৬টি মামলার আসামি এবং তিনি পুলিশের কাছে মোস্ট ওয়ানটেড ছিলেন। দরুদুজ্জামান বাংলাদেশে জাল রুপি তৈরির গুরু হিসেবে পরিচিত। গতকাল দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) দেবদাস ভট্টাচার্য জানান, বার বার গ্রেফতার হওয়ার পরও জামিনে বের হয়ে আবারও জাল রুপি তৈরি করে তা বাজারে ছড়িয়ে দিয়ে প্রতারণা করছে একটি চক্র। এ চক্রটির মূলহোতা দরুদুজ্জামান। তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে জাল রুপি ও টাকা তৈরি করে আসছেন।

 তিনি বাংলা?দে?শে জাল রু?পি তৈ?রির গুরু হি?সে?বে প?রি?চিত। ১৫ হাজার টাকার বিনিম?য়ে এক লাখ ভারতীয় জাল রুপির বা?ন্ডিল বি?ক্রি করত দরুদুজ্জামান।

সোমবার রাতে রাজধানীর ফার্মগেট থেকে দরুদুজ্জামানকে দুই লাখ জাল রুপিসহ গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তর বিভাগ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহীর শাহ মখদুম থেকে ১০ লাখ ২৮ হাজার জাল রুপিসহ তরিকুলকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া তাদের কাছ থেকে জাল রুপি তৈরির কাজে ব্যবহূত ল্যাপটপ, প্রিন্টার ও লে?মি?নে?টিং মে?শিন, হ্যা?লো?জেন লাইট, স্ক্যা?নিং করার প্রিন্টার ফ্রেম, সাদা কাগজ, বি?ভিন্ন ধর?নের কা?টিজ ও মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।

এদিকে, মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর মগবাজার ও গাজীপুর থেকে জাল টাকা তৈ?রি চ?ক্রের সদস্য ম?জিবুর ও জয়নুলকে গ্রেফতার ক?রে ডি?বির সি?রিয়াস ক্রাইম ইন?ভে?স্টি?গেশন বিভাগ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০ লাখ জাল টাকা, জাল টাকা তৈ?রি?তে ব্যবহূত ল্যাপটপ, প্রিন্টার মে?শিন, কি বোর্ড, মাউস, এ?ন্টি কাটার, স্কেল, সাদা কাগজ, কা?ঠের ডাইস উদ্ধার করা হয়।

এদের রাজধানীসহ দে?শের বিভিন্ন স্থা?নে জাল টাকা তৈ?রির কারখানা র?য়ে?ছে। সেখান থে?কে জাল টাকা বা?নি?য়ে তারা সাধারণ মানু?ষের কা?ছে ছ?ড়ি?য়ে দিত। তারা ৮-১২ হাজার টাকার বি?নিম?য়ে এক লাখ বাংলাদেশি জাল টাকার বা?ন্ডিল বিক্রি করত। যারা গ্রেফতারের পর আইনি প্রক্রিয়ায় জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন তাদের নজরদারিতে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা দেবদাস ভট্টাচার্য।

সর্বশেষ খবর