শনিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
সংহতি সমাবেশ

মিথ্যাচারের প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

‘বর্তমান প্রশাসন সীমাহীন মিথ্যাচারের প্রশাসন। আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে একে বৈধতা দেওয়ার জন্য বহিরাগত ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে। ছাত্রলীগের পাশাপাশি প্রক্টর এবং স্বয়ং ভিসিও আন্দোলনকারীদের বহিরাগত বলছে।’ গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত এক সংহতি সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল ছাত্র জোট নেতারা ও শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার বিচারের দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্র জোট এ সংহতি সমাবেশ করে। ‘সন্ত্রাস-দখলদারিত্বমুক্ত শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ চাই’ শীর্ষক সংহতি সমাবেশে জোটের সমন্বয়ক ইমরান হাবিব রুমনের সভাপতিত্বে সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এ এন রাশেদা, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ প্রমুখ। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি শুধু উদ্বেগের বিষয় নয়, এটা ক্রোধের বিষয়। তিনি বলেন, ভিসির পদে যিনি আছেন তার দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের কথা শোনা, তাদের সমস্যার সমাধান করা।

 যে ভিসি নিরাপত্তার অজুহাতে গেটে তালা মেরে বসে থাকেন, শিক্ষার্থীদের কথা শুনেন না; তার ভিসি থাকার কোনো অধিকার নেই। খালেকুজ্জামান বলেন, যে ছাত্রলীগ পাকিস্তান আমলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে তাদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করত সেই ছাত্রলীগ এখন শিক্ষার্থীদের পিটাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পেটুয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। জোনায়েদ সাকি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগেও ছাত্রদের ওপর হামলা হয়েছে। কিন্তু হামলার পর ঘটনাকে উল্টোভাবে ঘোরানো এবং প্রচার করা এর আগে কখনো হয়নি। তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগকে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশিদিন টিকতে পারবেন না। অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষকের ভূমিকা থেকে সরে গিয়ে আমলা ও দলীয় ক্যাডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তারা যদি শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা এমন ন্যক্কারজনক হতো না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

সর্বশেষ খবর