বুধবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

৮ ফেব্রুয়ারি রাজপথে ‘সহিংসতা’ চান না খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিশেষ জজ আদালত নেতিবাচক রায় দিলেও কোনো সহিংসতা চান না বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শান্তিপূর্ণ উপায়ে রাজপথে থাকতে নেতা-কর্মীদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। গত দুই দিন ধরে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এ বার্তা মাঠের নেতা-কর্মীদের কাছে পাঠাতে নির্দেশনা দেন। বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা বলেন, বিএনপির অনেক নেতা বিশেষ করে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, তৃণমূল নেতা-কর্মী ও দেশের মানুষ এতটাই খালেদা জিয়াকে ভালোবাসেন, রায় তার বিপক্ষে গেলে অনেকেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন না। এ বিষয়টি নিয়ে এখন তারা কাজ করছেন। সবার কাছেই বার্তা দেওয়া হচ্ছে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ যেন কিছু না করেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা আগেও কখনো সহিংসতা বা সন্ত্রাসের সঙ্গে ছিলাম না। আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও এটা সমর্থন করেন না। এদিকে রায়কে সামনে রেখে ‘গ্রুপিং যার যার, খালেদা জিয়া সবার’ এই স্লোগান নিয়ে বিএনপির সিনিয়র এবং মধ্যম সারির নেতারা ঐক্য গড়তে এগিয়ে যাচ্ছেন।

 এ নিয়ে সিনিয়র নেতারা কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। শুধু কেন্দ্রীয় পর্যায়ে নয়, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যেও ঐক্য গড়ে  তোলা হবে। এ লক্ষ্যেও সিনিয়র নেতারা কাজ করছেন। এ নিয়ে সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির সিনিয়র নেতারা  বৈঠকে বসেছিলেন। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী একত্রিত হয়েছিলেন। এর আগে রবিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু ও মো. শাহজাহান নয়াপল্টনে বসেছিলেন।

সর্বশেষ গত রাতে গুলশান কার্যালয়ে সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের শীর্ষ নেতারাও বসেন। জানতে চাইলে বিএনপিতে ঐক্য ফেরানোর উদ্যোক্তা স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার প্রশ্নে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। আমরা বৈঠক করেছি-এই বৈঠক হয়েছে চেয়ারপারসনের মামলার রায়কে কেন্দ্র করে। আমার জানা মতে আমাদের কারও মধ্যে কোনো বিভেদ আছে-এ কথা কেউ বলতে পারবে না। এটা হচ্ছে মানুষের ধারণাপ্রসূত চিন্তা। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ।

এদিকে নির্বাহী কমিটির সভার জন্য ভেন্যু চূড়ান্ত না হলেও জাতীয় স্থায়ী কমিটির ১২ জন, নির্বাহী কমিটি ৫০২ জন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ৮০ জন, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ৭৮ সাংগঠনিক জেলার সভাপতিসহ মোট ৬৯৪ জনকে কেন্দ্রীয় দফতর থেকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। গতকাল আমন্ত্রণপত্রে বৈঠকের কর্মসূচি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, (১) দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ। (২) দলের সাংগঠনিক অবস্থা বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও (৩) বিবিধ। সভায় যোগদানের জন্য আমন্ত্রিত নেতাদের ১ ফেব্রুয়ারি ও ২ ফেব্রুয়ারি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পরিচয়পত্র নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক করব। এটা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। ভেন্যু নিয়ে চিন্তা করছি না। আমাদের নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয় তো আছেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর