শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিভিন্ন দল ও সংগঠনের প্রতিক্রিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে নেওয়ার ঘটনায় বিভিন্ন দল ও সংগঠন প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। বেগম জিয়াকে নির্দোষ দাবি করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক বিবৃতিতে তার মায়ের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন। বিএনপি জোটের অন্যতম প্রধান শরিক জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রাখতেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হীন উদ্দেশ্যে সরকার কথিত  অরফানেজ ট্রাস্টের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। এ রায় সরকারি প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। বিএনপির ডাকা কর্মসূচির পূর্ণ সমর্থন করে এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ দলের নেতা-কর্মী ওই কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন জোটের শরিক দল জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তর ও দক্ষিণ, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, কৃষক দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, জাসাস, ড্যাবসহ অঙ্গ সহযোগী সব সংগঠন। এ ছাড়াও জোটের সব শরিক দলই পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেছেন। এদিকে বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, শত শত রাজনৈতিক  নেতা-কর্মী গ্রেফতার, নগরের ১৩টি প্রবেশদ্বারে পুলিশি তল্লাশি, মিছিল-মিটিং বন্ধ করে দেওয়া, সরকারদলীয় নেতা-মন্ত্রী ও দলীয় ব্যক্তিদের অগণতান্ত্রিক উত্তেজক বক্তব্য, মিছিল নিষিদ্ধ করে সরকারি দলের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় পুলিশের সাহায্য করা—এসব ঘটনা নির্বাচনের বছরে নির্বাচন ও গণতন্ত্রের পরিবেশ ভয়াবহভাবে দূষিত করেছে।

আজ জনগণ ভীত, সন্ত্রস্ত। গণতান্ত্রিক পরিবেশের আর কিছু রইল না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, ‘জনমনে সন্দেহ দৃঢ় হচ্ছে জনগণের ভোটে নির্বাচিত তিন বারের প্রধানমন্ত্রী  বেগম খালেদা জিয়ার ভবিষ্যৎ আইনি পদক্ষেপ সরকারি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে প্রভাবিত হবে কিনা। এ রকম কিছু হলে তার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হবে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতার কারণে নির্বাচনী পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটার জন্য সরকারই দায়ী থাকবে।’

সর্বশেষ খবর