যথাযথ মর্যাদায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও অমর একুশে উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন, ভাষা ও চেতনা সমিতি, দুই বাংলা মৈত্রী সমিতি, শান্তিনিকেতন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। ডেপুটি হাইকমিশনের কর্মসূচি অনুযায়ী সকালে কলকাতার ৩, সোহরাওয়ার্দী এভিনিউতে অবস্থিত বাংলাদেশ গ্রন্থাগার ও তথ্য কেন্দ্রের সামনে থেকে প্রভাত ফেরি বের করা হয়। এতে নানা বর্ণের পোস্টার, ফুলের মালাসহ মিশনের কর্মকর্তা এবং অসংখ্য মানুষ অংশ নেন। প্রভাত ফেরি পার্কসার্কাস সেভেন পয়েন্টে ক্রসিং-আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু রোড ধরে ডেপুটি হাইকমিশন প্রাঙ্গণে অবস্থিত শহীদ মিনারে সমবেত হয়। সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়। কর্মসূচির মধ্যে আরও ছিল ভাষাদিবস নিয়ে বাণী পাঠ ও আলোচনা সভা এবং বিকালে বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ মিশন ছাড়াও কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের জেলা ও মহুকুমাগুলোতেও এদিন যথাযথ মর্যাদায় অমর একুশে উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে রাতব্যাপী অনুষ্ঠান করে ভাষা ও চেতনা সমিতি। মঙ্গলবার বিকাল থেকে কলকাতার রবীন্দ্রসদন লাগোয়া একাডেমি অব ফাইন আর্টসের সামনে ছাতিম তলায় শুরু হয় এই অনুষ্ঠান। গতকাল ভোরে প্রভাত ফেরির মধ্য দিয়ে তা শেষ হয়। এ ছাড়া রাতব্যাপী নাটক, বাউল, জারি, লোকউৎসব গম্ভীরা অনুষ্ঠিত হয়। রাত ১২ টায় হয় মশাল মিছিল। উৎসবে যোগ দেন বাংলাদেশ, অসম, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের প্রায় প্রায় শতাধিক শিল্পী।
এ ছাড়া বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর পেট্রাপোল সীমান্তে ‘দুই বাংলা মৈত্রী সমিতি’ ভাষা শহীদ দিবস পালন করে। শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসেও মহান দিবসটি উপলক্ষে কর্মসূচি পালন করা হয়।