বুধবার, ৭ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা
জ্বালানিবিষয়ক প্রতিবেদন

ভারতীয় বিদ্যুৎ আমদানি তুলনামূলক সাশ্রয়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ফলে বাংলাদেশ এবং ভারত দুই দেশই অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হয়েছে। এমনকি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিভিন্ন যে পথ আছে তা থেকেও ভারত বিদ্যুৎ আমদানি তুলনামূলক সাশ্রয়ী। গত সোমবার ‘ইকোনমিক বেনেফিটস অব বাংলাদেশ-ভারত ইলেকট্রিসিটি ট্রেড’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এমনটি উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট ইন দ্য ক্যাপিটাল আয়োজিত এক সেমিনারে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। সাউথ এশিয়া রিজনাল ইনিশিয়েটিভ ফর এনার্জি ইন্টিগ্রেশনের (এসএআরআই/ইআই) আওতায় দিল্লির গবেষণা সংস্থা ‘ইন্ট্রিগ্রেটেড রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন ফর ডেভেলপমেন্ট’ (আইআরএডিই), আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউএসএইড-এর অর্থায়নে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ভারত থেকে ট্রান্স বর্ডার চুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানি, বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশের জন্যই উইন-উইন সিচুয়েশন তৈরি করেছে। আর দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র উন্নয়ন এবং সম্পর্কোন্নয়নে অবকাঠামো এবং যোগাযোগ খাতকে গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেন, ২০১০ সালে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল মাত্র চার হাজার মেগাওয়াট আর বর্তমানে এই সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার মেগাওয়াটে। যা অত্যন্ত ইতিবাচক। ভারত থেকে আমদানিকৃত ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেশের বিদ্যুৎ সংকট কমাতে ভূমিকা রেখেছে। এমনকি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও আমদানিকৃত এই বিদ্যুৎ কাজে এসেছে। যেহেতু দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বিদ্যুৎ সংকট আছে সেক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে এ ধরনের বিদ্যুৎ বাণিজ্যের বিষয়টি ইতিবাচক একটি ধারণা।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, আইআরএডিই’র চেয়ারম্যান ড. কিরিত পারিখ, বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের সভাপতি ফারুক সোবহান প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর