সোমবার, ১২ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

লোভী ব্যবসায়ীরা বিনা মাশুলে ব্যবসা করতে চান : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, এক শ্রেণির লোভী ব্যবসায়ী বিনা শুল্কে ব্যবসা করতে চান। তারা শুল্ক না দিয়ে বেশি বেশি মুনাফা করতে চান। এসব ব্যবসায়ীর লোভ একটু বেশি। বিশ্বের কোথাও এমনটি নেই বলে জানান তিনি। গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট) অ্যাসোসিয়েশন ও বিসিএস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশনে নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ৫০ হাজার ইসিআর মেশিন আমদানি করা হচ্ছে। যেসব ব্যবসায়ী এসব মেশিন ব্যবহার করবে তাদের ভ্যাটের ওপর ২ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।

এ সময় তিনি এনবিআরকে অনলাইনে ভ্যাট আদায়ে জোরদার করার তাগিদ দিয়ে বলেন, অনলাইন ভ্যাট আছে, অনলাইন ইনকাম ট্যাক্স আছে। সবই আছে তবে কোনোটায় এক্সক্লুসিভলি অনলাইন নাই। অনলাইন পেমেন্ট অ্যান্ড রিসিভস-এ সরকার সেভিং হয় ৭৫ শতাংশ। এ বিষয়ে মাস দুয়েকের মধ্যে আপডেট দেবে। তিনি বলেন, নতুন ভ্যাট আইন দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভিতরে ভিতরে নতুন ভ্যাট আইন বস্তবায়ন কাজ চলছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভ্যাট আইন তো ১৯৯১ সাল থেকে রয়েছে। সরকার ২০১৯ সালে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করবে এটা স্বাভাবিক।

অর্থমন্ত্রী বলেন, নিজের পয়সা থেকে পয়সা পৃথিবীর কোথাও দিতে চায় না। আমাদের দেশে লোভ একটু বেশি। মাশুল দিয়ে তারা ব্যবসা করতে চান না। তারা কোনো ট্যাক্স দিতে চান না। নতুন আইন ঢালাওভাবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট করা হয়েছিল। এ ছাড়া ট্যারিফ ভেল্যু বাদ দিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে সেটা টিকেনি। এখন আগামীতে যে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হবে সেখানে ভ্যাটের হার একের অধিক রাখা হবে।

চলতি বছরের বাজেট বাস্তবায়ন বিষয়ে তিনি বলেন, সবসময় এডিবি বাস্তবায়নে সমস্যা হয়। কিন্তু এবার এডিপির বাস্তবায়ন গত ৬ মাসে ৩৫ শতাংশ যা খুব ভালো। অনেকেই বলছে বাজেট বাস্তবায়ন ভালো হবে না। তবে আমার বিশ্বাস বাজেট বাস্তবায়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী হবে। ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা থেকে রিভিশন করে ৩ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে এটা আরও বেড়ে যাবে। নির্বাচনের বছরের জন্য এ বাস্তবায়ন বেড়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রতি সপ্তাহে আমরা একনেক মিটিং করি। আমি প্ল্যানিং কমিশনকে বারবার বলেছি, আপনারা সবসময় বেশি বেশি বরাদ্দ চান কিন্তু টাকা তো খরচ করতে পারেন না। তবে এবার তারা এটা ওভারকাম করতে পেরেছে। অর্থাৎ বাস্তবায়ন সক্ষমতা অর্জন করেছে। রাজস্ব আদায় বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় ১১ থেকে ১২ শতাংশ কম হবে। কেন কমছে এ বিষয়ে বলেন, বিভিন্ন কারণে হয় না। তবে আমরা এসব বিষয় ওভারকাম করতে পারব। এবারের রাজস্ব আদায় গত বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি হবে। নতুন কাস্টমস আইন বাস্তবায়ন বিষয়ে তিনি বলেন, নতুন কাস্টমস আইন বহুদিন ধরে কাজ চলছে। আগামী বাজেটে নতুন কাস্টমস আইন উপস্থাপন করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর