মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

হতাহতদের খোঁজ ও তাদের ফিরিয়ে আনতে নেপাল যাচ্ছি

—বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দুর্ঘটনায় দেশি-বিদেশি যারা নিহত হয়েছেন তাদের এবং তাদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বিমানমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল। তিনি বলেন, ‘এই মৃত্যুতে আমি দুঃখিত ও মর্মাহত। একই সঙ্গে দুর্ঘটনায় হতাহতদের পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি বিমানমন্ত্রী হিসেবে নেপালে গিয়ে দুর্ঘটনার কারণ এবং হতাহতদের ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে এ দুর্ঘটনায় নিহতের পূর্ণাঙ্গ সংখ্যা জানার পাশাপাশি তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।’ বিমানমন্ত্রী গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টায় নেপালে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের এসব বলেন। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক তথ্যে জানতে পেরেছি, দুর্ঘটনার শিকার বিমানটিতে ৬৭ যাত্রী ও ৪ জন ক্রু ছিলেন। এর মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ, ২৮ জন নারী এবং ২ জন শিশু। যাত্রীদের মধ্যে বাংলাদেশি ৩৭, নেপালি ২৮ ও মালদ্বীপের ২ জন। বিমানমন্ত্রী আরও জানান, ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু যাওয়ার পথে দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে বিমানটি রানওয়েতে নামার চেষ্টা করেও পারেনি। পাইলট তখন বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিমানটি ঢুকিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনা তদন্তে বিকাল সাড়ে ৪টায় একটি কমিটি গঠন করার জন্য সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন পুরো সিভিল এভিয়েশনের টিম এরই মধ্যে নেপালে চলে গেছে। যেহেতু দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নেপালে এজন্য তদন্তের উদ্দেশ্যে সেখানেও একটি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নেপাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষেরও কথা হয়েছে।’

এ কে এম শাহজাহান কামাল বলেন, ‘যেহেতু এ মুহূর্তে আমরা জানি না দুর্ঘটনায় কতজন নিহত হয়েছেন, তাই হতাহতদের জন্য কোনো আর্থিক সহায়তা বরাদ্দ হচ্ছে কিনা তা এখনই বলতে পারছি না। দেশি-বিদেশি যাত্রী ও তাদের পরিবার যদি আমাদের কাছে আর্থিক সহায়তা চান তবে আমরা তা দেব।’ তিনি জানান, ‘দুর্ঘটনার পরপরই আমাদের লোক সেখানে পাঠানো হয়েছে। তারা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছেন।’

সর্বশেষ খবর