বহুল আলোচিত ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি একরামুল হক একরাম হত্যা মামলার রায় আজ। ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হক ১৩ ফেব্রুয়ারি যুক্তিতর্ক শেষে আজ এ রায়ের তারিখ ধার্য করেন।

২০১৪ সালের ২০ মে প্রকাশ্য দিবালোকে একরামকে গুলি করে, কুপিয়ে ও গাড়িসহ পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যা ঘটনায় জড়িত একের পর এক হত্যাকারীরা গ্রেফতার হতে থাকলে মুখোশ উন্মোচিত হয় ঘটনার নেপথ্য কাহিনী। বেরিয়ে আসে সরকারদলীয় অন্তঃকোন্দলের কারণে হত্যা করা হয় একরামকে। হত্যার সঙ্গে রাঘব-বোয়ালদের নাম বেরিয়ে এলে গা ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে যায় হত্যাকারীরা। হত্যার পর ফুঁসে ওঠেন এলাকাবাসী। হরতাল-অবরোধ-বিক্ষোভসহ মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

আদালত মামলার বাদী একরামের বড় ভাই রেজাউল হক জসিম, ছোট ভাই এহসানুল হক, নিহতের স্ত্রী তাসমিন আক্তার, গাড়িচালক আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ৫০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। মামলার অভিযোগপত্রে পুলিশ ৫৯ জনকে সাক্ষী করেছিল। গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে ১৬ জন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

এ মামলায় বর্তমানে আটক আছেন ৩৬ জন। মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন ১০ জন। জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন নয়জন। রুটি সোহেল নামে একজন জামিনে থাকা অবস্থায় র‌্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন।