অবৈধ সুবিধা নিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের রেহাই দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ দুই পুলিশ সদস্যকে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে আগামী ১ এপ্রিল তাদের সশরীরে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মো জিয়ারুল ইসলাম এ আদেশ দেন। এ ছাড়া আদেশের কপি অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাপুলিশ পরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ, পুলিশ হেড কোয়ার্টারসহ সংশ্লিষ্ট সাতজনকে প্রেরণ করতে বলা হয়েছে। ওই দুই পুলিশ সদস্য হলেন, পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির এবং এসআই এস এম কাওসার সুলতান।
আদেশে বলা হয়েছে, গত ১৮ মার্চ গণমাধ্যমে খবর এসেছে ‘৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের পর মামলা হলো শুধু ৭৫ পিসের’ বিষয়টি আদালতের গোচরীভূত হয়েছে। এ ছাড়া উল্লিখিত ঘটনা, ঘটনার স্থান ও জড়িত ব্যক্তিদের নামের সঙ্গে অত্র মামলার আসামিদের মিল রয়েছে। আরও বলা হয়েছে, পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী চান্দাসহ চার নারী-পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু মামলায় বলা হয়েছে, আসামি ফেরদৌসের কাছ থেকে ৩৯ পিস ইয়াবা এবং আসামি চান্দার কাছ থেকে ৩৬ পিস ইয়াবা (মোট ৭৫ পিস) উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারকালে যে পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে তার ৫ ভাগও জব্দ দেখানো হয়নি এবং চারজনকে গ্রেফতার করা হলেও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে দুই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাই কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর এর ২৫ ধারা ও পুলিশ রেগুলেশনস অব বেঙ্গল ১৯৪৩ এর ২৫ নম্বর রেগুলেশনে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে অত্র আদালতের ধর্তব্যে নেওয়া হলো। এ ছাড়া ওই তথ্য অনুয়ায়ী এজাহারকারী এসআই কাওসার সুলতান ও পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করে তারা আইনানুগ কর্তব্য থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। বিষয়টি পেনাল কোডের ১৬১ ও ১৬৭ ধারায় বর্ণিত অপরাধকে আকৃষ্ট করে।
জানা গেছে, রাজধানীর পল্লবীতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এ-ব্লকে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সিনিয়র উপদেষ্টা মো. শাহজাদার স্ত্রী ও ছেলের শ্বশুরসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে গভীর রাতে ছেড়ে দেওয়া হয় দুজনকে এবং অন্য দুজনের কাছ থেকে মাত্র ৭৫ পিস ইয়াবা জব্দ দেখিয়ে মামলা করা হয়। এতে নানা প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।