বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

নাসির আলী মামুনের ‘ফটোজিয়াম’ প্রদর্শনী

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

নাসির আলী মামুনের ‘ফটোজিয়াম’ প্রদর্শনী

শৈল্পিক ফটোশিল্পী নাসির আলী মামুন। ক্যামেরার ফ্রেমে যা বন্দি করেন সেটাই যেন শিল্প হয়ে ওঠে। নিখুঁত কারুকাজে তার ছবি যেন কথা বলে। ফটোশিল্পের ভুবনে তিনি এক জীবন্ত কিংবদন্তি। খ্যাতিমান এই আলোকচিত্রীর ছবি নিয়ে জাদুঘরে শুরু হলো ‘ফটোজিয়াম’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। ১২৩টি সাদাকালো পোর্ট্রেট আলোকচিত্র দিয়ে সাজানো হয়েছে ২৪ দিনের এই প্রদর্শনী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন, গাজীউল হক, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক আতাউল গনি ওসমানী, মাদার তেরেসাসহ বিশিষ্টজনদের পোর্ট্রেট স্থান পেয়েছে এই ক্যামেরাশিল্পীর আলোকচিত্রে।

গতকাল বিকেলে জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে  এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ইমেরিটাস প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

অতিথি ছিলেন দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের।

সভাপতিত্ব করেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নাসির আলী মামুন দেশের শ্রেষ্ঠ পোট্রেট আলোকচিত্রশিল্পীদের মধ্যে অন্যতম। তিনি সৃষ্টিশীল এবং খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বদের বিভিন্ন দুর্লভ মুহূর্ত তার ক্যামেরায় বন্দী করে চলেছেন পরম মমতায়।

শনি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা এবং শুক্রবার দুপুর আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

৩ মে শেষ হবে চব্বিশ দিনের এই প্রদর্শনী।

আর্টকন-এর সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজিত এ প্রদর্শনীটি জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাককে উৎসর্গ করা হয়েছে।

বাঁশিতে ভোরের রাগালাপে বর্ষবরণ করবে ছায়ানট

দুয়ারে কড়া নাড়ছে বৈশাখ। রমনার বটমূলে বাঙালির সর্বজনীন এই উৎসবের প্রথম প্রহরে ছায়ানট মেতে উঠে নাচ, গানসহ নানা আনন্দায়োজনে। প্রতিষ্ঠানটির এ বছরের  প্রস্তুতিও প্রায় শেষের পথে। বাংলা নববর্ষ ১৪২৫-এর প্রথম প্রহরে সকাল সোয়া ছয়টায় বাঁশিতে ভোরের রাগালাপ দিয়ে বরণ শুরু হবে বর্ষবরণের এই প্রভাতী আয়োজন। ১৬টি একক গান, ১২টি সম্মেলক গান, ২টি আবৃত্তি এবং সব শেষে ছায়ানটের সভাপতি সন্জীদা খাতুনের নতুন বছরের আবাহনী কথন দিয়ে শেষ হবে এ বছরের অনুষ্ঠান।

এরপর থাকবে একক গান, সম্মেলক গান ও আবৃত্তি। প্রভাতী এ আয়োজনে দেড় শতাধিক শিল্পী অংশ নিচ্ছে। ছায়ানটের বর্ষবরণের এবারের প্রতিপাদ্য ‘বিশ্বায়নের বাস্তবতায় শিকড়ের সন্ধান’। সকাল সোয়া ছয়টায় শুরু হয়ে সোয়া দুই ঘণ্টার ব্যাপ্তিকালের এ আয়োজন শেষ হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।

গতকাল বিকালে ছায়ানটের প্রধান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানায় ছায়ানট।

এতে উপস্থিত ছিলেন ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুন, নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী এবং সহসভাপতি খায়রুল আনাম শাকিল, ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমেদ লিসা।

সন্জীদা খাতুন বলেন, নানা চড়াই-উত্রাই পেরিয়ে রমনার বটমূল, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলা নববর্ষ আজ বিশ্বময় বাঙালির সব থেকে বড় মিলনমেলা, একটি জাতীয় উৎসব। এ উৎসব আপামর বাঙালিকে প্রাণিত করে ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনে।

তিনি আরো বলেন, সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। কিন্তু তার জন্য সবার একযোগে কাজ করার সময় এসেছে। কারণ আমাদের বিরুদ্ধে যারা কাজ করছেন তারা সংঘবদ্ধ।

তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলের বৈরী পরিবেশে ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনকে কেন্দ্র করে ছায়ানটের যে যাত্রার সূচনা হয়, তা মূলত বাঙালির আপন সত্তাকে জাগিয়ে তুলবার জন্য; আপন সংস্কৃতিকে বাঁচাবার অধিকার ও বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করার জন্য। ‘কায়মনে বাঙালি’ হবার প্রত্যয় নিয়ে সেই থেকে পাঁচ দশক ধরে বাংলা বছরের প্রথম লগ্ন পয়লা বৈশাখের প্রত্যুষে মানুষের ভালোবাসায় ধন্য এ সংগঠন আপন সংস্কৃতির অনুষ্ঠান করে আসছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পয়লা বৈশাখের আগের দিন ১৩ এপ্রিল বিকাল ৩টায় রমনা বটমূলে থাকবে মঞ্চ মহড়া। ছায়ানটের শিল্পী কর্মীদের জন্য বটমূল-সংলগ্ন সামান্য জায়গা ছাড়া পুরো অঙ্গনই থাকছে সবার জন্য উন্মুক্ত। বর্ষবরণের আয়োজন সুষ্ঠু রাখতে সার্বক্ষণিক সহায়তা দেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

প্রতিবারের মতো এবারও অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার। পুরো অনুষ্ঠান সরাসরি দেখা যাবে ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল যঃঃঢ়://নরঃ.ষু/পযুহঃনফ তে। এ ছাড়া ইউটিউবে ষরাব:পযধুধহধঁঃ,নড়ত্ংযড়নড়ত্ড়হ ১৪২৫ অনুসন্ধান করেও এ আয়োজন দেখা যাবে। আয়োজন শেষে সংগীত পরিবেশন করেন ছায়ানটের শিল্পীরা।

ঢাকা পদাতিকের ‘কথা ৭১’

যুদ্ধাপরাধীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে বলে একজন মুক্তিযোদ্ধা এখনো আত্ম যন্ত্রণায় ভুগছেন এমন গল্প নিয়ে ঢাকা পদাতিক মঞ্চায়ন করেছে নাটক ‘কথা ৭১’। গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় নাটকটি।

কুমার প্রীতীশ বলের রচনায় নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন মঞ্জুর আহমেদ।

বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফিরোজ হোসাইন, কাজী চপল, শেখ শান-এ-মাওলা, এইচ এম মোতালেব, জোসেফ পরিমল রোজারিও, আবুল হাসনাত, কিরণ জাকারিয়া, খন্দকার আতিকুর রহমান, সম্রাট আহমেদ, শ্যামল হাসান, মিল্টন আহমেদ, তারেক আলী মিলন, জে এ বৎস, শরিফুল ইসলাম মামুন, সালাউদ্দিন, বর্ণালী আক্তার সেতু প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর