বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

এরশাদ যা বলেছেন সেটাই শেষ কথা নয়

———— কাজী ফিরোজ রশীদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যা বলেছেন সেটাই শেষ কথা নয়। জাতীয় পার্টি এখন যা বলছে তা কিন্তু শেষ কথা নয়। দলকে নানা রকম সিদ্ধান্তের মধ্যে থাকতে হবে এবং নির্বাচনের আগমুহূর্তে চরম সিদ্ধান্তে যেতে হবে। সোমবার রাতে বেসরকারি এসএ টেলিভিশনে ‘লেট এডিশন’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ‘ভোট এবং জোট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন রিয়াদ আহসান। অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এবং আওয়ামী লীগের মো. তাজুল ইসলাম এমপি।

সম্প্রতি জাপাকে ৭০টি আসন এবং ১২টি মন্ত্রণালয় না দিলে আলাদা নির্বাচন করার কথা বলেছেন দলটির চেয়ারম্যান এরশাদ। যদিও আওয়ামী লীগ তা খুব গুরুত্ব দিচ্ছে না— উপস্থাপক বিষয়টি কাজী ফিরোজ রশীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। না হলে নির্বাচন হতো না। সে কারণে এবার তিনি (এরশাদ) বলেছেন, একেকজনকে ডেকে নিয়ে মন্ত্রণালয় দেবে, সেটা হবে না। তিনি একটা তালিকা দেবেন। ১২টি মন্ত্রণালয় এবং ৭০টি আসন চাইবেন বলেছেন। এটা তার (এরশাদ) রাজনৈতিক বক্তব্য। এতে আওয়ামী লীগ দাম দিল কি দিল না সেটা বিষয় নয়। এটা তিনি জনগণের জন্যই বলেছেন।

তার মতে, জাতীয় পার্টি যা বোঝার বুঝে গেছে। ভোটের আগে জোট বাঁধা বাংলাদেশে নিয়মে পরিণত হয়েছে। আগে এটা ভারতে ছিল। গোটা ভারতে দুটি জোট মূলত নির্বাচন করে। আর ছোট ছোট যা থাকে তা সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারে না। আর সেখানে দেখা যায় একেক প্রদেশে একেক জোট ক্ষমতায় আসে। এখানে নির্বাচনে জোটের গুরুত্ব অনেক। জামায়াতের নিবন্ধন আছে কি নেই জানি না। এখন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি এই তিনটি দল মাঠে আছে। এরা যদি একটা জোট বাঁধে তাহলে কী অবস্থা হতে পারে এটা জনগণকে বোঝাতে হবে। সেটাই তিনি (এরশাদ) বোঝাতে চেয়েছেন। বিএনপি যেভাবে বলছে সেভাবে সরকার নির্বাচন দেবে, এটা সম্ভব না বলেও মন্তব্য করেন ফিরোজ রশীদ। বলেন, সরকার এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না, যাতে বিএনপির নির্বাচনে আসার পথটা সুগম হয়।

তার মতে, আওয়ামী লীগ বলছে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে। আর বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলছে। খালেদা জিয়া জেলে থাকা অবস্থায় এবং তারেক রহমানের সাজা হওয়ার কারণে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি না তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় মনে হয় এখনো বিএনপির আসেনি। সেটা আরও পরে হয়তো তারা সিদ্ধান্ত নেবে। আর জাতীয় পার্টিও এখন যা বলছে সেটাই শেষ কথা নয়। তাকেও নানা রকম সিদ্ধান্তের মধ্যে থাকতে হবে এবং নির্বাচনের আগমুহূর্তে চরম সিদ্ধান্তে যেতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হয়ে এরশাদ কী করেছেন— দর্শকের এক প্রশ্নের জবাবে ফিরোজ রশীদ বলেন, বিশেষ দূত হয়ে তিনি কিছু করতে পারেননি। একবার বিদেশও যেতে পারেননি। ঘরেই থাকেন। মাঝে মাঝে যান চেকআপ করাতে। এই সপ্তাহে হয়তো আবার সিঙ্গাপুর যাবেন। কিন্তু তিনি নিজেও জানেন না তার কাজটা কী। আমরা প্রশ্ন করেছিলাম, ‘স্যার আপনি তো বিশেষ দূত আপনি কী কী করলেন? নিজেই বলেছেন, আমার কী কাজ, কী কী করতে হবে তা আমি নিজেই জানি না।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর