শিরোনাম
রবিবার, ৬ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

তিন বাচ্চার মা হলো ময়ূরী

শাহজাদা মিয়া আজাদ, রংপুর

রংপুর চিড়িয়াখানায় ময়ূর-ময়ূরী পরিবারে তিন বাচ্চা জন্ম নিয়েছে। পাঁচ দিন আগে জন্ম নেওয়া এ বাচ্চাগুলো আলাদা খাঁচায় রেখে তাপ দেওয়া হচ্ছে। দর্শনার্থীদের বাচ্চা দেখতে দেওয়া হচ্ছে না। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছেন, আরেকটু বড় হলেই বাচ্চাগুলো ময়ূর-ময়ূরীর খাঁচায় দেওয়া হবে। চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. জসিম উদ্দিন জানান, মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে ময়ূরী ৭টি ডিম দেয়।  এগুলো ফুটানোর জন্য ৩ এপ্রিল স্থানীয় একটি হ্যাচারিতে পাঠানো হয়। ১ মে তিনটি ডিম ফুটে তিন বাচ্চা বের হয়। অন্য ডিমগুলো নষ্ট হয়ে যায়। বাচ্চাগুলো দুর্বল থাকায় এদের এনে তাপে রাখা হয়েছে। এখন ভালো আছে। নিয়মিত খাবারও খাচ্ছে। একটু বড় হলেই বাচ্চাগুলো তাদের মায়ের খাঁচায় দেওয়া হবে।

ডেপুটি কিউরেটর আরও বলেন, ময়ূর ডিম দিলেও বাচ্চা ফুটাতে পারে না। বিকল্প পদ্ধতিতে বাচ্চা ফুটাতে হয়। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে সময় লাগে ২৮ দিন। ডিম ফুটানোর জন্য আমাদের নিজস্ব কোনো ব্যবস্থা না থাকায় স্থানীয় হ্যাচারি থেকে ফুটিয়ে আনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ২১ নভেম্বর রাণীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হয়ে রংপুর চিড়িয়াখানায় দুটি বাচ্চাসহ ময়ূর-ময়ূরী মারা যায়। পরে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে আরেক জোড়া ময়ূর-ময়ূরী আনা হয়। ২০১২ সালে একই রোগে আক্রান্ত হয়ে ৬টি বাচ্চাসহ মারা যায় ময়ূর। গত বছরের শুরুতে ফের ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে ৫টি ময়ূর ও ২টি ময়ূরী আনা হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর