শুক্রবার, ১১ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

কুচক্রীমহল প্রতিষ্ঠানটির মালিক হতে চায়

---------- মান্নান

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির (বিআইএফসি) সাবেক চেয়ারম্যান মেজর এম এ মান্নান (অব.) বলেছেন, একটি কুচক্রী মহল কৃত্রিম লোকসান দেখিয়ে বিআইএফসির সম্পূর্ণ মালিকানা গ্রহণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, ২০১৫ সালে ওই মহলটি পুঁজিবাজার থেকে এ প্রতিষ্ঠানের ৫ শতাংশ শেয়ার কিনে দুজন পরিচালক নিয়োগ দেয় কোম্পানিটিতে। এরপর মহলটি বাকি ৯৫ শতাংশ শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা  অভিযোগে সব পরিচালনা পর্ষদের  দখল নেয়। এতে শেয়ারহোল্ডার হিসেবে নিজের মালিকানা হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন আলোচিত রাজনীতিবিদ মেজর মান্নান।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স রুমে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ধরনের অভিযোগ করেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যের ভিত্তিতে গত বুধবার জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘মেজর মান্নান ৯৫ শতাংশই ঋণখেলাপি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের পরদিন গতকাল সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন মেজর মান্নান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে শুধু ৪২টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঋণের খতিয়ান উল্লেখ রয়েছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে বিতরণ করা ঋণ আদায়ের কোনো পরিসংখ্যান ছিল না। ফলে এ প্রতিবেদনটি আংশিক প্রতিবেদন মাত্র।

বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থ মন্ত্রণালয়ে যে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে তাতে উল্লেখ ছিল, ‘বিআইএফসি’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান মেজর (অব.) এম এ মান্নান, তাঁর পরিবারের সদস্য পরিচালক এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি পরিচালকগণ বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণের আড়ালে ৪৮টি হিসাবের মাধ্যমে  কোম্পানিটি থেকে ৫১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুসন্ধানে পাওয়া এমন তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে— সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যে মেজর মান্নান বলেন, কিছু পত্রিকা স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে। মূল তথ্যটি হচ্ছে বিআইএফসির বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কয়েকশ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ হাজার ৬৩ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করে। কিন্তু বিআইএফসির তৎকালীন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় এবং অদক্ষতার কারণে তারা এ ঋণ পুনরুদ্ধারে ব্যর্থ হয়।

সর্বশেষ খবর