সোমবার, ২১ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

চামড়া শিল্পে ট্যাক্স হলিডে আর নয় : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

চামড়া শিল্পনগরীতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে ৭ থেকে ১০ বছরের জন্য ট্যাক্স হলিডের একটি দাবি নাকচ করে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, এ মুহূর্তে আর ট্যাক্স হলিডে দেওয়া সম্ভব নয়। গতকাল সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ)-এর সঙ্গে প্রাক-বাজেটে আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি মো. শাহিন আহমদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল দেখা করেন। এ সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য ছয় দফা দাবি তুলে ধরা হয়। বিটিএ সভাপতি বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে চামড়া খাত একটি উদীয়মান রপ্তানিমুখী শ্রমঘন খাত। এ খাত রপ্তানি বাণিজ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খাতে উন্নীত হয়েছে। পরিবেশবান্ধব চামড়া শিল্পনগরী গড়ে তোলার লক্ষ্যে ট্যানারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান সাভারে স্থানান্তরিত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে চামড়া খাতে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৫ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করতে হবে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চামড়া শিল্প সহায়ক ভূমিকা পালনে বদ্ধপরিকর। সংগঠনের পক্ষ থেকে এ খাতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য ট্যাক্স হলিডে সুবিধা ছাড়াও চামড়া শিল্পে অপরিহার্য কেমিক্যালের ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করার দাবি জানানো হয়। এ ছাড়াও চামড়া রপ্তানিতে বিদ্যমান আর্থিক প্রণোদনা পাঁচ বছরের জন্য বহাল রাখারও দাবি জানানো হয়।

এর আগে বাংলাদেশ বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ দে প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন। তারা যত দিন সিগারেট থাকবে ততদিন বিড়ি শিল্প টিকিয়ে রাখতে অর্থমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন। এ ছাড়া তারা ভারতের মতো বিড়ি শিল্পের ওপর শুল্ক নির্ধারণ, বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্প ঘোষণা, প্রতি হাজার বিড়িতে শুল্ক ১৪ টাকা করা এবং যে সব বিড়ি কারখানায় ২০ লাখ শলাকার কম উৎপাদন হয় তাদের কাছ থেকে শুল্ক না নেওয়ার দাবি জানানো হয়। তবে বিড়ি শিল্প দেশের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বিধায় এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যদের তার অবস্থান অবহিত করে চিঠি দিয়েছেন। সমিতির পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীর ওই চিঠি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

সর্বশেষ খবর