সোমবার, ২১ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা
ভেজাল বিরোধী অভিযান

স্বপ্নসহ বিভিন্ন ফাস্ট ফুড দোকানকে ১৪ লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি, ওজনে কম দেওয়া ও পণ্যের গায়ে লেখা দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রির অভিযোগে সুপারশপ স্বপ্নের বনানী আউটলেটকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া পচা ও বাসি খাদ্যদ্রব্য রাখা ও বিক্রির দায়ে নিউমার্কেটের ৯টি ফাস্ট ফুড দোকানিকে ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পুলিশের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল দুপুরে পৃথক এ অভিযান চালায় র‌্যাব ও পুলিশ। র‌্যাব জানায়, গতকাল দুপুরে বনানীতে স্বপ্নের আউটলেটে র?্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। এতে নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। সেখানে বিভিন্ন পণ্যের মান খতিয়ে দেখে দলটি। এরপর বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়ায় ওই আউটলেটকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, সুপারশপটিতে দেখা গেছে তারা বিভিন্ন ব্রান্ডের কোমল পানীয়’র মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তারিখ পরিবর্তন করে বিক্রি করছে। এ ছাড়া যেসব দুধ বা জুসের মেয়াদ আগেই শেষ হয়েছে তা বিক্রি করছে। একই সুপারশপে দেখা যায়, স্টোর রুমে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মেয়াদ আছে এমন পণ্য রেখেছে। এছাড়া গরুর মাংস ৪৫০ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও তারা বিক্রি করছিল ৫৫০ টাকায়। তিনি জানান, ওই সুপারশপে একটি পণ্যের গায়ে লেখা আছে ৯৮ টাকা আর তারা নিচ্ছিল ১৬৭ টাকা। এ ছাড়াও পাঁচ কেজির পেয়াজ ২০০ গ্রাম কম দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এদিকে, গতকাল দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমানের পরিচালনায় নিউমার্কেট এলাকার বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে ৯টি দোকানের বাসি খাবার জব্দ করা হয়। দোকানিরা স্বীকার করেন তারা ক্রেতাদের পুরনো বাসি খাবার খাইয়ে থাকেন। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পচা ও বাসি খাবার রাখা এবং বিক্রির দায়ে কিংস ফাস্ট ফুডের মো. জহিরকে ৫০ হাজার টাকা, ক্যাপ্রে ফাস্ট ফুডের সোহাগকে ৫০ হাজার টাকা, পেঞ্জি জুস কর্নারের ইব্রাহিমকে ৫০ হাজার টাকা, ওয়েলকাম ফাস্ট ফুডের তৌহিদুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা, ফুড কর্নারের মুসা বাহাদুরকে ১ লাখ টাকা, আল-আমিন ফুডের ইউনুছকে ৫০ হাজার টাকা, সৈকত ফাস্ট ফুডের মোশারফ হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা, ক্যাপিটাল ফাস্ট ফুডের রাজিবকে ৫০ হাজার টাকা ও আল জাবের ফাস্ট ফুডের ফয়সালকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে। মালিকদের না পাওয়ায় প্রত্যেক দোকানের একজন কর্মীকে আটক করে পুলিশ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান বলেন, জরিমানার টাকা মালিকদের পরিশোধ করতে হবে। জরিমানা পরিশোধ না করলে ও রেস্টুরেন্ট মালিকদের পাওয়া না গেলে দোকানগুলো সিলগালা করে দেওয়া হবে। এছাড়া আট কর্মচারীর প্রত্যেককে তিন মাসের করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর