শনিবার, ২৬ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

সংখ্যালঘু স্বার্থবিরোধীদের নির্বাচনে মনোনয়ন না দেওয়ার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংখ্যালঘু স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন এমন কাউকে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া যাবে না। সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে যাতে ভোট দিতে পারে, তার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতারা। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ প্রতিষ্ঠার ৩০ বছর উপলক্ষে ‘অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামের তিন দশক’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে সংগঠনটি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এতে বক্তব্য দেন।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। এতে বলা হয়, বড় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছে, সমঝোতা ও পৃষ্ঠপোষকতা করতে দেখা যাচ্ছে।

বক্তারা বলেন, একটি গোষ্ঠী রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে বারবার ধর্মকে ব্যবহার করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় যাওয়ার পথ হিসেবে সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। নির্বাচনের বছরে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি আরও বেগবান হবে বলেও আশঙ্কা করেন তাঁরা।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, দেশকে নব্য পাকিস্তান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জন্য অস্তিত্বের সংকট চলছে। পেছনের দরজা দিয়ে এসে পাকিস্তানের ভূত দেশটা দখল করে নিচ্ছে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে যারা সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করছে, তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখি না। সংখ্যালঘুদের জন্য নির্বাচন ‘শাঁখের করাত’। ভোট দিলেও বিপদ, না দিলেও বিপদ।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ধর্মের রাজনীতিকীকরণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সংখ্যালঘুরা একটি নির্দিষ্ট দলের প্রতি ঝুঁকে যাচ্ছে, এই ধারণা দূর করা উচিত। জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত না হলে বৈষম্য আরও বাড়বে।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি হিউবার্ট গোমেজের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর