শিরোনাম
শনিবার, ৯ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘুরা অস্তিত্বের সংকটে : রানা দাশগুপ্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, ‘ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘুদের অস্তিত্বকে যারা রক্ষা করবেন— এই আশায় আমরা যাদের নির্বাচিত করি, তাদের বড় একটি অংশই আমাদের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। আমাদের উপাসনালয়, ঘরবাড়ি দখল করেছেন। এই বাস্তব অভিজ্ঞতায় বলতে চাই, দেশের ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘুরা অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে।’ রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের মিলনায়তনে গতকাল এক বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।

 তিনি আরও বলেন, ১০ বছর আগে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলের নেতৃত্বে আমরা ভূমিকা পালন করেছি। ১৯৯২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপরে যে পরিকল্পিত আক্রমণ অব্যাহতভাবে চলেছে, তার পুনরাবৃত্তি এই সরকারের আমলে হবে না বলে ভেবেছিলাম। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা হতে দেখেছি।

তিনি উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আছে, রোজার পর গোটা বাংলাদেশে আরেকটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির বিশেষ চক্রান্ত চলছে। চক্রান্তের ধরন কেমন হবে তা বলতে পারছি না, তবে সম্প্রদায়গতভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করা হবে। এর বিরুদ্ধে শুধু প্রতিবাদ নয়, সারা দেশে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’  ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদ। এটি বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অঙ্গ সংগঠন। গতকাল সংগঠনটির বর্ধিত সভায় প্রায় ৫০টি জেলার নেতারা অংশ নেন। তারা সাংগঠনিক কার্যক্রম তুলে ধরেন। বাংলাদেশ ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল কুমার চ্যাটার্জির সভাপতিত্বে ওই সভায় সাধারণ সম্পাদক রমেন মণ্ডল, আইনজীবী প্রশান্ত বড়ুয়া, উইলিয়াম প্রলয় সমাদ্দার প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সংখ্যালঘুদের বর্ধিত সভায় নেতা-কর্মীরা বলেছেন, চলতি নির্বাচনী বছর ঘিরে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা চিন্তায় আছে। কারণ অতীতের জাতীয় নির্বাচনের আগে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা হয়েছে। তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা হলে তারা ভোট দিতে যাবেন না। এ জন্য সরকার ও প্রশাসনকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তারা।

সর্বশেষ খবর