শিরোনাম
শনিবার, ৯ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

লঞ্চের কেবিনের টিকিট কালোবাজারির হাতে!

ফিটনেসবিহীন নৌযান নোঙরে নিষেধাজ্ঞা

রাহাত খান, বরিশাল

এবার ঈদ সামনে রেখে রমজানের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ঢাকা-বরিশাল রুটের বিভিন্ন লঞ্চ কোম্পানি প্রথম শ্রেণির যাত্রীর কেবিনের টিকিটের জন্য স্লিপ প্রথা চালু করে। মধ্য রমজান থেকে ছাড়তে শুরু করেছে টিকিট। ঈদের আগ পর্যন্ত ঘরমুখো মানুষের জন্য আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে টিকিট দেবে কর্তৃপক্ষ। তবে এবারও সেই কেবিনের টিকিট কালোবাজারির হাতে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের। অনেক যাত্রীর অভিযোগ, কাউন্টারগুলোতে টিকিট না পাওয়া গেলেও বরিশাল নদীবন্দরে অতিরিক্ত ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা দিলে দালালদের কাছে মিলছে কেবিনের টিকিট। এর পরিপ্রেক্ষিতে সুন্দরবন নেভিগেশনের বরিশাল অফিস ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন মামুন বলেন, চাহিদার তুলনায় কেবিন কম হওয়ায় কেউ কেউ কেবিনের টিকিট না পেয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।

লঞ্চ মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, ঘরমুখো অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে ঈদের ৩ দিন আগে থেকে ডবল ট্রিপের ব্যবস্থা করেছেন তারা।

বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু বলেন, এবারের ঈদে দিন-রাতে বরিশাল-ঢাকা রুটে যাত্রী পরিবহন করবে অত্যাধুনিক ২৫টি জাহাজ। এছাড়া ঈদে ঢাকা-বরিশাল-মোড়েলগঞ্জ রুটে রাষ্ট্রীয় নৌ পরিবহন সংস্থা বিআইডব্লিউটিসি’র ছয়টি স্টিমার ও জাহাজ যাত্রী পরিবহন করবে। আর দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলাসহ মাদারীপুর, শরীয়তপুর, চাঁদপুর ও বাগেরহাট রুটে দিবা এবং নৈশ সার্ভিসে সারা বছর চলাচল করে দেড় শতাধিক বড়-ছোট লঞ্চ। এবারের ঈদে নতুন-পুরান মিলিয়ে দিবা ও নৈশ সার্ভিসে ২ শতাধিক লঞ্চ চলাচল করবে।

ফিটনেসবিহীন নৌযান নোঙ্গরে নিষেধাজ্ঞা: বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর এম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, এবার ঈদযাত্রায় ফিটনেস ও সনদবিহীন নৌযান বন্দরে নোঙ্গর করতে দেবে না কর্তৃপক্ষ। ঈদে নৌপথের প্রস্তুতি দেখতে গতকাল দুপুরে বরিশাল নদীবন্দর পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, সব অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর পরিদর্শন করে ছোটখাটো যেসব ত্রুটিবিচ্যুতি পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো সমাধান করতে তাত্ক্ষণিক স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এবার বাড়তি সতর্কতা রয়েছে নৌ কর্তৃপক্ষের। আবহাওয়া সংকেত ২ নম্বর হলে ৬৫ ফুটের কম দৈর্ঘ্যর লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকবে। আর সংকেত ৩ হলে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।

 এ ছাড়া ঈদের আগে পাঁচদিন ও পরের সাত দিন বরিশাল নদীবন্দরে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু থাকবে। এবার নৌপথে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন রোধ এবং মাঝ নদীতে যাত্রী তোলার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড এ বিষয়টি নজরদারি করবে।

সর্বশেষ খবর