উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজে দুর্নীতি করার অভিযোগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) প্রধান প্রকৌশলী সুখেন্দু বিকাশ গোস্বামীকে ঈদের পর আবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা থাকলেও মন্ত্রণালয়ের কাজে অধিকতর ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে ঈদের পর হাজির হওয়ার জন্য সময় চেয়ে চিঠি দেন।
দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল সহকারী পরিচালক মো. আ. সালাম আলী মোল্লা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল। সুখেন্দু বিকাশকে তলব করে গত ৪ জুন নোটিস দেওয়া হয়েছিল। বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। দুদকে আসা দুর্নীতির দুটি অভিযোগ নিয়ে পৃথকভাবে অনুসন্ধান করছেন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের দুই সহকারী পরিচালক মো. খায়রুল হক ও মো. আ. সালাম আলী মোল্লা।
অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়, ‘সিভিল অ্যাভিয়েশনের মেইনটেনেন্স, কনস্ট্রাকশন, কেনাকাটা ও ফান্ড ম্যানেজমেন্টে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের শত শত কোটি টাকার অনিয়ম, দুর্নীতি, আত্মসাৎ ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাড়ি-গাড়িসহ অঢেল সম্পদ অর্জন করেছেন। একই সঙ্গে তাকে ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেবিচকে কী কী প্রকল্পের কাজ হয়েছে এর তালিকা, এই দুই অর্থবছরে কেনাকাটা খাতে কত টাকার ব্যয় হয়েছে এর বিস্তারিত বিবরণ, একই সময়ে নির্মাণ ও সংস্কার খাতে কত ব্যয় হয়েছে এর বিবরণ, আইটি খাতে কত বরাদ্দ ছিল এবং কী কী কাজ করা হয়েছে এর বিবরণ এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সব ধরনের অডিট প্রতিবেদনসহ দুদকে হাজির থাকতে বলা হয়। এর আগে গত বছরের ১৯ অক্টোবর ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সুখেন্দু বিকাশ গোস্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। নয়টি প্রতিষ্ঠান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এই দুই প্রকৌশলীকে নির্দিষ্ট হারে ঘুষ দিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
