বুধবার, ৪ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

আষাঢ়ের ভেজা সন্ধ্যায় নাচের শৈল্পিকতা

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

নৃত্যের ছন্দময় মুদ্রায় শৈল্পিকতা ছড়ালেন নৃত্যপটিয়সীরা। নাচের মুদ্রার নান্দনিকতায় মঞ্চ মাতালেন শিল্পীরা। আর সেই পরিবেশনায় হৃদয় মাতল মিলনায়তনে আগত নৃত্যানুরাগীদের। নাচের সঙ্গে গানের অপূর্ব সমীকরণে ভিন্ন এক মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ল শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে। শিল্পীরা নাচলেন মঞ্চে আর দর্শকদের হৃদয় নাচল অভিনন্দনের করতালিতে। নৃত্যের মোহনীয়তায় আষাঢ়ের ভেজা সন্ধ্যাটি হয়ে উঠল মনোমুগ্ধকর। গতকাল আষাঢ়ের বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় এমন চিত্রই ফুটে উঠল ‘নৃত্যছন্দে আনন্দে আষাঢ়সন্ধ্যা’ শীর্ষক নৃত্যাসর। যৌথভাবে এই নৃত্যসন্ধ্যার আয়োজন করে নাচের দল স্পন্দন ও পল্লবী ড্যান্স সেন্টার। প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন নৃত্যগুরু আমানুল হক, লায়লা হাসান, মীনু হক, অধ্যাপক আবদুস সেলিম ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছসহ নৃত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা। উদ্বোধন পর্ব শেষে ‘চাঁদ উঠেছে ঐ গানের সঙ্গে’ দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে খুদে শিল্পীরা। এরপর ‘বনের হরিণ আয়’ গানের সঙ্গে নাচ দেখায় স্পন্দনের শিশুশিল্পীরা। অনুষ্ঠানে ‘ঝুমঝুম ঝুমরা নাচ নেচে কে এলো গো’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে পল্লবী ড্যান্স সেন্টার।

অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর কলাক্ষেত্রের শিল্পীরা পরিবেশন করে নৃত্যনাট্য ‘আমি সে রমণী নহি’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যনাট্য ও নৃত্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’র দুটি চরিত্র আশ্রয়ে অরিন্দম ব্যানার্জির নির্দেশনায় নৃত্যনাট্যটিতে অংশ নেন রূপসা চক্রবর্তী, চন্দ্রিকা ব্যানার্জি, অন্তরা মজুমদার, সারদা সিনহা, অমিত বোল, অনুরাগ ব্যানার্জি, রৈনাথ দত্ত ও রঞ্জন মহাজন।  এ ছাড়া নাচের এই আসরে আরও নৃত্য পরিবেশন করে স্বপ্নবিকাশ কলাকেন্দ্রের শিল্পীরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর