বাংলাদেশের বন্ধু জুলিয়ান ফ্রান্সিস এখন বাংলাদেশের নাগরিক। একাত্তরে পাকিস্তানিদের আক্রমণে ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশি শরণার্থীদের সহায়তার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু হয়ে ওঠা ব্রিটিশ এই নাগরিককে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল গণভবনে এক অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ নাগরিক জুলিয়ানের হাতে নাগরিকত্ব সনদ তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে অবস্থানকালীন জুলিয়ানের সেবামূলক কাজের প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা। জুলিয়ান এ সময় বলেন, ‘এটা আমার জন্য একটি বিরল সম্মান।’ একাত্তরে আত্মার বন্ধনে বাংলাদেশকে বেঁধে নেওয়ার পর এদেশেই থিতু হওয়া এই বিদেশি পরিচিতজনদের কাছ থেকে ‘জুলিয়ান ভাই’ সম্বোধন শুনতেই ভালোবাসেন। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রত্যাশায় ছিলেন জুলিয়ান, তার প্রতীক্ষার অবসান ঘটে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সনদ নেওয়ার মধ্য দিয়ে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা হোসেনসহ আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলী।
১৯৬৮ সাল থেকে বিহারে অক্সফামের একটি কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করতেন ফ্রান্সিস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ভারতে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশিদের জন্য কাজ শুরু করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় শরণার্থী শিবিরে কাজের জন্য ২০১২ সালে বিদেশি বন্ধুর সম্মাননা দেওয়া হয় জুলিয়ান ফ্রান্সিসকে। এর আগে গত মার্চ মাসে বাংলাদেশপ্রেমী ব্রিটিশ নাগরিক লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্টকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।