মঙ্গলবার, ২৪ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

তাজউদ্দীন আহমদ স্মরণে নানা আয়োজন

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, স্বাধীনতা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা তাজউদ্দীন আহমদকে নানা আয়োজনে স্মরণ করেছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। গতকাল বিকালে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আয়োজনে মূল বক্তা ছিলেন অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। সূচনা বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী। আরও উপস্থিত ছিলেন তাজউদ্দীন কন্যা ও সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি। তাজউদ্দীন আহমদের ভাষণ পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী ও কথামালা দিয়ে সাজানো ছিল এই শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান। অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের ইতিহাসের একজন নায়ক যিনি তার অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার ছিল প্রগাঢ় বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা। ১৯৭৫-এর পরে বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দীন আহমদ হত্যার পর বাংলাদেশ গন্তব্যহীন হয়ে পড়ে। দেশ আবারও বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দীনের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য ফিরে পেয়েছে। ডা. সারওয়ার আলী বলেন, তাজউদ্দীন আহমদ অনন্য সাধারণ সংগঠক। এমন নিরহংকারী, বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ এ অঞ্চলের আর কোনো দেশ এ যাবৎকালে আর পায়নি। মুক্তিযুদ্ধে শরণার্থীদের দায়িত্ব, প্রশাসনিক ভিত্তি প্রদান, মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করা— তাজউদ্দীন আহমদের অনন্য কীর্তি।

অনন্য এই আয়োজনে ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের একটি ভাষণ শোনানো হয়। এ ছাড়া তাজউদ্দীনের উল্লেখযোগ্য বেশ কিছু ভাষণের খণ্ড খণ্ড অংশ পাঠ করে শোনান সৈয়দ শহীদুল ইসলাম নাজু।

এরপর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস (ইউল্যাব) ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ভাস্কর্য চত্বরে ‘তাজউদ্দীন আহমদ : জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।

তাজউদ্দীন আহমদের নানা সময়ের ছবি স্থান পেয়েছে এ প্রদর্শনীতে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সবশ্রেণির দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই প্রদর্শনী। ৩০ জুলাই শেষ হবে আট দিনের এই প্রদর্শনী।

সর্বশেষ খবর