শুক্রবার, ২৭ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

দুই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে তাদের স্বামীরা পলাতক। অভিযোগ পাওয়া যায় স্বামীরাই তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। গতকাল যাত্রাবাড়ী ও রামপুরা বনশ্রী এলাকায় ঘটনা দুটি ঘটে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (এসএসএমসি) মর্গে পাঠানো হয়। ঢামেক সূত্র জানায়, বুধবার রাত ১টার দিকে বনশ্রীর ডি ব্লকের ১০ নম্বর রোডের ৭ নম্বর বাসার ছয়তলায় জুলেখা আক্তার রত্না (৩৬) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ পাওয়া যায় তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। রত্না ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বেতাগৈর গ্রামের মৃত রিয়াজউদ্দিনের মেয়ে।

তিনি গুলশান শাহজাদপুর এলাকায় সোলায়মান কিন্ডার গার্ডেনে শিক্ষকতা করতেন। কলেজে পড়া অবস্থায় রত্না পছন্দ করে জাহাঙ্গীরকে বিয়ে করেন। জাহাঙ্গীরও একই গ্রামের আ. রাজ্জাকের ছেলে। এ দম্পতির ইফতেখার রায়হান নামে ১৩ বছরের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। তবে জাহাঙ্গীর বেকার ছিলেন। রত্নার উপার্জন দিয়ে তাদের সংসার চলত। এ নিয়ে সংসারে কলহ লেগেই থাকত। রামপুরা থানার এসআই হুমায়ুন কবির জানান, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ বাসার তালা ভেঙে রত্নার লাশ উদ্ধার করে। তার গলায় লালচে দাগ দেখা যায়। স্কুলে যাওয়ার সময় স্বামীর সঙ্গে রত্নার ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর তাকে গলা টিপে হত্যা করে বাইরে থেকে তালা মেরে পালিয়ে যান।

এদিকে এসএসএমসি সূত্র জানায়, গতকাল ভোরে রূপা (২২) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর থেকে রূপার স্বামী সোহেল মা-বাবাকে নিয়ে পালিয়ে যান। যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, প্রতিবেশী ও রূপার স্বজনরা খবর দিলে সকালে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। খাটের ওপরে শোয়ানো অবস্থায় ছিল রূপার লাশ। উদ্ধারের সময় তার গলায় কালচে দাগ দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে- রূপাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

জানা গেছে, সোহেল পেশায় মাছ বিক্রেতা। তিনি স্ত্রী ও মা-বাবাকে নিয়ে যাত্রাবাড়ীর কাজলায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় বিভিন্ন কারণে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। কুমিল্লার হোমনায় তাদের গ্রামের বাড়ি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর