চাঞ্চল্যকর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলায় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন অব্যাহত রয়েছে। গতকাল তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন আইনজীবী নজরুল ইসলাম। তবে এ দিন বাবরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় আগামী ১৩ আগস্ট পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুরউদ্দিন। পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত বিশেষ আদালতে মামলা দুটির বিচার চলছে।

গতকাল আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান, আইনজীবী আকরাম উদ্দিন শ্যামল, ফারহানা রেজা, আমিনুর রহমান প্রমুখ। আইনজীবী আকরাম উদ্দিন শ্যামল জানান, দুই মামলায় মোট আসামি ৫২ জন। এর মধ্যে ৩ জন আসামির অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাদের মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন ৪৯ আসামির বিচার চলছে। এর মধ্যে এখনো তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরীসহ ১৮ জন পলাতক। বাবর, সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন আসামি কারাগারে এবং ৮ জন জামিনে রয়েছেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। নির্মম এ হামলায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান। অল্পের জন্য বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এ হামলায় শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন।