বৃহস্পতিবার, ৯ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী

নতুন রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ৩৬০ কোটি ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক

পণ্য ও সেবা খাত মিলিয়ে চলতি অর্থবছরে ৪ হাজার ৩৬০ কোটি ডলার রপ্তানি আয়ের নতুন লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এটি গত অর্থবছরে অর্জিত রপ্তানি আয়ের চেয়ে ৬৯৪ কোটি ডলার বেশি। এর মধ্যে পণ্য খাতে ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার ও সেবা খাতে রপ্তানি টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬০ কোটি ডলার। এবারের সামগ্রিক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রায় প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গতকাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এই রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। গত অর্থবছরে পোশাক খাতের ওপর ভর করে রপ্তানি আয়ে কিছুটা প্রবৃদ্ধি এসেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রপ্তানি থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার। আয় হয়েছে ৩ হাজার ৬৬৬ কোটি মার্কিন ডলার। গতবারের মতো এবারও পোশাক খাতের ওপর ভর করেই রপ্তানির টার্গেট বাড়ানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে রপ্তানি আয় ৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার যে লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে তার সঙ্গে সমন্বয় রেখেই এবারের টার্গেট চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমরা আশা করি তৈরি পোশাকে এবার আরও ভালো করতে পারব।গত অর্থবছরে রপ্তানি পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছি। একমাত্র চামড়া খাত ছাড়া সব খাতে রপ্তানি ভালো হয়েছে।

এবার দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাত থেকে ৩২ হাজার ৬৮৯ কোটি ডলার আসবে বলে ধরা হয়েছে, যা মোট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার ৮৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি করে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৭৫০ কোটি (৩৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন) ডলার। সে হিসেবে এবার এই লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে দেড় বিলিয়ন ডলার।

 গত অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৩০ হাজার ৬১৪ কোটি ডলার, যা মোট রপ্তানি আয়ের ৮৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

নগদ সহায়তা পাবে ৯ পণ্য : নতুন করে আরও ৯টি পণ্যে রপ্তানির বিপরীতে ১০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বর্তমানে ২৭টি পণ্য রপ্তানিতে বিভিন্ন হারে নগদ আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে সরকার। পণ্যগুলো হলো : হিমায়িত সফটসেল কাঁকড়া, ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য ও ওষুধের কাঁচামাল, সিরামিক দ্রব্য, গালভানাইজড সিট বা কয়েলস, ফটোভলটাইক মডুল, রেজার ও রেজার ব্লেডস, ক্লোরিন, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, কস্টিক সোডা ও হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড।

এ ছাড়া নতুন বাজারে পণ্য রপ্তানিতেও প্রণোদনা বাড়ানোর কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, তৈরি পোশাক নতুন বাজারে রপ্তানিতে আগে ৩ শতাংশ হারে নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হতো। এখন আরও ১ ভাগ বাড়িয়ে ৪ শতাংশ হারে নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। আশা করা হচ্ছে, আগামীতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, এফবিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর